ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, জুলাই ৮, ২০২৪ |

EN

হিজাব-নিকাব পরার দাবিতে ঢাবি ছাত্রীদের মানববন্ধন

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২

হিজাব-নিকাব পরার দাবিতে ঢাবি ছাত্রীদের মানববন্ধন
হিজাব-নিকাব পরাসহ ৫ দফা দাবিতে এবার অপরাজেয় বাংলার সামনে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছে তারা।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি নোটিশ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নোটিশে পরিচয় শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার অজুহাতে সব ধরণের পরীক্ষা ও সংযোগ ক্লাসে বিভাগের সকল শিক্ষার্থীকে কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এই নোটিশের ফলে বিভাগের প্র্যাক্টিসিং মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে। এই নোটিশের মাধ্যমে তাদের ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। আমরা মুসলিম হিসেবে এই ঘটনায় মারাত্মক ভাবে ব্যথিত হয়েছি এবং এটিকে ঘিরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের দানা বেঁধেছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান এবং আমাদের ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার তাগিদে আপনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা করছি।

মানবন্ধনে তারা পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন। যার মধ্যে রয়েছে- বাংলা বিভাগ কর্তৃক পরীক্ষা চলাকালীন কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখা সংক্রান্ত নোটিশ বাতিল করতে হবে; পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, অন্যথায় পরীক্ষার পূর্বেই নারী কর্মচারী কিংবা নারী শিক্ষিকার মাধ্যমে আলাদা রুমে হিজাব ও নিকাব পরিহিতাদের পরিচয় শনাক্ত করার ব্যবস্থা চালু করতে হবে; দ্রুততম সময়ে সকল অনুষদের সকল বিভাগে হিজাব-নিকাব পরিধানকারী শিক্ষার্থীদেরকে হেনস্থা করা বন্ধে নোটিশ প্রদান করতে হবে; বিভিন্ন সময়ে ক্লাসরুমে, ভাইবা বোর্ডে অথবা পরীক্ষার হলে নিকাব খুলতে বাধ্য করা অথবা কটূক্তির মাধ্যমে নারী শিক্ষার্থীদের শ্রীলতাহানি করার মতো ঘটনাগুলো তদন্তপূর্বক বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে; হিজাব বা নিকাব পরিধানে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বিধিতে ধারা যুক্ত করতে হবে এবং ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত ঘটনায় বারে পড়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় ফিরিয়ে এনে অথবা ভিন্ন উপায়ে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের এক বোনের সাথে যে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা নয়। অনেকের সাথে এ ধরনের ঘটে। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করে না। এটি ধর্মীয় স্বাধীনতায় আঘাত। এর মধ্যমে ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মের স্বাধীনতা কেন থাকবে না।