ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বুধবার, নভেম্বর ৬, ২০২৪ |

EN

ভিন্নধর্মী বিষয়বস্তু নিয়ে অনুব্রতের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'কলোনি'

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক | আপডেট: শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২

ভিন্নধর্মী বিষয়বস্তু নিয়ে অনুব্রতের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'কলোনি'
অনুব্রতের একটা স্বতন্ত্র চিন্তাধারা রয়েছে,সেটা তার প্রথম স্বল্লদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ' বাট হোয়াই' দেখে বোঝা যায়। শুধু বিষয়ই নয় একটা গল্পের নিজস্ব ভাষা তৈরির চেষ্টা আছে তাঁর।

বাট হোয়াই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটিতে সমাজের কিছু বাস্তব ঘটনাবলীকে রুপক ব্যবহারের মাধ্যমে দেখানোর প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। চলচ্চিত্রে দেখা যায়,  মানুষ পরিবার, সমাজ এবং কোন না কোন দেশের নাগরিক। সমাজের কিছু গৎবাঁধা নিয়ম থাকে যার উৎপত্তি সম্পর্কে সবাই সন্দিহান থাকা সত্ত্বেও, তাদের জন্ম ঘটে এবং পরিণামে তা সমাজে মানুষ থেকে মানুষে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে অন্যায়ভাবে।

সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া 'কলোনি'র পোস্টারে এক নতুন লুকে ধরা দিয়েছে  আয়নাবাজি,মনপুরা ও জোকারের চরিত্রে মুখাভিনয় করে প্রশংসিত অভিনয়শিল্পী শেখ জিসান আহমেদ।সম্পূর্ণ একটি ভিন্নধর্মী কাহিনি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে। পুরো কাজটি শ্যুট করা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ফেইডেড থটস প্রোডাকশন প্রযোজিত নতুন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র "কলোনি" তে  কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী হাসানের জীবনের এক লোমহর্ষক রাতের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। হাসান তার ফিজিক্স পরীক্ষার আগের রাতে এক চায়ের দোকানে যায়। উদ্দেশ্য চা খেয়ে মাথা খোলা। কিন্তু দোকানদার রবিউলের সাথে সাধারণ কথোপকথন হঠাৎ এমন এক মোড় নেয় যা হাসান কস্মিনকালেও ভাবেনি৷ উন্মোচিত হয় মানবজাতির ইতিহাসের অতিগোপন কিছু ঘটনা, যা জানতে পারা হাসানের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।

চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য রচনা ও  পরিচালনা করেছেন  অনুব্রত নন্দী। অনুব্রত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী। এছাড়াও  অভিনয়ে রয়েছেন জাবির  নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ জিসান আহমেদ ও সরকার ও রাজনীতি বিভাগের তপু চন্দ্র দাশ এবং বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদাত হাসনাত সাব্বির।

সম্পূর্ণ শিক্ষার্থী দ্বারা নির্মিত স্বাধীন চলচ্চিত্রটির পেছনে আরো রয়েছেন সহকারী পরিচালক ও সম্পাদনায় ছিলেন রিয়াজ রাজা, চিত্রগ্রহণে ইশতিয়াক আহমেদ ও অনুব্রত নন্দী এবং প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে ছিলেন মোঃ ফিরোজ আলী।
পুরো কাজটির শ্যুট হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।

নতুন চলচ্চিত্র সম্পর্কে নির্মাতা অনুব্রত নন্দী বলেন, 'আপাতত আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য হলো, চলচ্চিত্রটি নিয়ে  বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়া। যেহেতু মুক্তির তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি সেহতু একটা ভাল দিন দেখে মুক্তি দেওয়া। এখন প্লাটফর্ম হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য আপাতত ভিমিও আর ইউটিউবই আছে। হয়ত এই দুইটার একটাতেই যাবে'।