ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

টাঙ্গাইলে গণধর্ষণের শিকার নবম শ্রেণির ছাত্রী

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শনিবার, অক্টোবর ৯, ২০২১

টাঙ্গাইলে গণধর্ষণের শিকার নবম শ্রেণির ছাত্রী
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণির এক মাদরাসার ছাত্রী। গত বুধবার (৬ অক্টোবর) রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের মুরাইদ গ্রামে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত মোস্তফা ও মোফাজ্জলকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা দুই বিয়ে করেছেন। দ্বিতীয় ঘরের বড় মেয়ে সে। মেয়েটি চাকুরির উদ্দেশ্যে গাজীপুরে তার নিকট আত্নীয়ের বাসায় যান। মোবাইল ফোনে পরিচয় ছিল মোস্তফা (২৫) নামে এক যুবকের সঙ্গে। মোস্তফার বাড়ি মেয়েটির পাশের গ্রাম ঘাটাইল উপজেলার মুরাইদ। পরিচয়ের সুবাদে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েটিকে ফোন করেন মোস্তফা। চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান। কৌশলে ডেকে নিয়ে আসেন কালিয়াকৈরের চন্দ্রা বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে মোস্তফা তাকে নিজ গ্রাম মুরাইদে নিয়ে আসেন। নিজ বাড়িতে না নিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে উঠেন পূর্বপরিচিত মফিজ উদ্দিন মোড়লের ছেলে মোফাজ্জল হোসেনের (৩৫) বাড়িতে। রাতে ঘুমানোর জন্য টিনশেট একটি ঘরে ব্যবস্থা করে দেন মোফাজ্জল। রাতটুকু ওই বাড়িতেই কাটাতে বলেন মোস্তফা। পরেরদিন পরিচিত আত্নীয়ের মাধ্যমে চাকুরির দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে, এই বলে ঘুমাতে যেতে বলেন মেয়েটিকে। চাকুরির আশায়, সরল বিশ্বাসে ঘুমাতে যায় সে। পরে রাত প্রায় ১১ টার দিকে ওই ঘরে প্রবেশ করেন মোস্তফা ও মোফাজ্জল। মুখ চেপে ধরে তারা দু’জন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায় মেয়েটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার চিৎকারে আশেপাশের স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মোস্তফা ও মোফাজ্জলকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত দু’জনকে থানায় নিয়ে যায়।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে পড়ালেখার পাশাপাশি সে চাকুরি করতে চেয়েছিলেন।

এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম সরকার পিপিএম বলেন, থানায় মামলা হয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তার করে শুক্রবার (৮ আক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।