আল মামুন, বরিশাল প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৭, ২০২১
বরিশালে
ই-কমার্সের নামে সাধারণ মানুষের ৩০ লাখ টাকা প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী
ও তাদের সন্তানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার
রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর পূর্ব বিল্ববাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেন বিমান
বন্দর থানা পুলিশ।
বুধবার
বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহানগর পুলিশের
উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. জাকির হোসেন মজুমদার।
গ্রেপ্তারকৃতরা
হলেন- মহানগরীর কাউনিয়া এলাকার কাগাশুরা ৩নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল বারেক শেখের মেয়ে
মোসা. শাহিনুর বেগম (৪৩), তার স্বামী আমিনুল ইসলাম সুমন মোল্লা (৩৬) ও তাদের ছেলে শাহারিয়ার
ইসলাম শাকিল (১৭)।
সংবাদ
সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, নগরীর কাউনিয়া থানাধীন কাগাশুরায় বারেক শেখ সুপার
মার্কেটে “বন্ধুজন ফার্নিচার মেলা এন্ড ভ্যারাইটিজ স্টোর”
নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করেন মোসা. শাহিনুর বেগম, তার স্বামী আমিনুল ইসলাম
সুমন মোল্লা ও তাদের ছেলে শাহারিয়ার ইসলাম শাকিল।
গত
একবছর ধরে ফার্নিচারসহ বিভিন্ন মালামাল কম মূল্যে কিস্তির মাধ্যমে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে
৫০০ থেকে ১০০০ মানুষের কাছ থেকে সপ্তাহে ২০০ টাকা, আবার কারো কাছ থেকে প্রতিদিন ৫০টাকা
করে গ্রহণ করে।
তবে
টাকা নিয়ে ২-১ জনকে তারা কিছু পন্য দিয়েছে। পরবর্তিতে পন্য দেয়া বন্ধ করে দিলে টাকা
ফেরত চায় গ্রহীতারা।
উপ-পুলিশ
কমিশনার জানান, তারা মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য টাকার রশিদ প্রদান করতেন, কিন্তু
তাদের টাকা নেয়ার আইনগত কোন ভিত্তি ছিলনা। গত ১ বছর যাবত পণ্য দেয়ার নাম করে সাধারণ
লোকজনের কাছ থেকে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা।
পুলিশের
এই কর্মকর্তা আরও জানান, এটা হচ্ছে ই-কমার্সের ‘মিনি ভার্সন’।
এই
ঘটনায় প্রতারণার স্বীকার বরিশাল সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের পূর্ব বিল্ববাড়ী গ্রামের
লাইলী আক্তার বাদী হয়ে বিমান বন্দর থানায় গ্রেপ্তার তিনজনের নামে সম্প্রতি প্রতারনা
ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
গত
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযুক্ত শাহিনুর বেগম, আমিনুল ইসলাম সুমন মোল্লা ও শাহারিয়ার
ইসলাম শাকিল পূর্ব বিল্ববাড়ী এলাকায় টাকা উত্তোলন করতে আসলে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত
চাইলে তারা পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেন।
এসময়
তাদেরকে আটকে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে আটক করে নিয়ে যায়।
পুলিশের
জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর
মধ্যে কিশোর শাহারিয়ার ইসলাম শাকিলকে সমাজসেবা অফিসের প্রবেসন অফিসারের জিম্মায় দেয়া
হয়েছে।
আর
স্বামী-স্ত্রীকে আদালতের মাধ্যমে বুধবার করাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান বিমান
বন্দর থানার ইনচার্জ কমলেস চন্দ্র হালদার।