ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধে প্রয়োজনে গুলি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, অক্টোবর ৫, ২০২১

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধে প্রয়োজনে গুলি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অস্ত্র এবং মাদকসহ সব চোরাচালান রোধে প্রয়োজনে গুলি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মঙ্গলবার সকালে সিলেটে ভারত সরকারের দেওয়া দুটি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্ডারে কেউ আসলে আমরা মারি না। কারণ সীমান্তে হত্যা হলেও এটা নিয়ে চিৎকার শুরু হয়ে যায়। আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হচ্ছে বর্ডারে আমরা একটা লোকও মারব না। মিয়ানমার-বাংলাদেশ বর্ডারে আমরা গুলি চালাতে চাই না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে, অস্ত্র, মাদকসহ সব চোরাচালান রোধে প্রয়োজনে আমরা গুলি চালাব।

 

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৮ সালে ২ লাখ রোহিঙ্গা এসেছিল, তাদের মিয়ানমার ফেরত নিয়ে গেছে। ১৯৯২ সালে ২ লাখ ৫৩ হাজার রোহিঙ্গা এসেছিল, পরে ২ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিয়ে যায় মিয়ানমার। তবে এবার এ সংখ্যা অনেক বেশি প্রায় ১১ লাখ। তাঁদের ফেরত পাঠাতে কাজ করছে সরকার।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাখাইনে এখন কোনো সংঘাত নেই। বিদেশি বিভিন্ন এজেন্সিগুলো রোহিঙ্গাদের উসকানি দিচ্ছে। তাঁরা রোহিঙ্গাদের জমি দেওয়া, চাকরি নিশ্চিত ও শিক্ষার বিষয় নিয়ে নানা শর্ত দিচ্ছে। এদের শর্তগুলো কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা চায় এ ইস্যু যত বেশি দিন গড়াবে তাঁদের চাকরির মেয়াদ বাড়বে।

 

মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব থেকে অনেক টাকা এসেছে। এগুলো কীভাবে খরচ হচ্ছে তা জানে না সরকার।

 

রাখাইন নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা সম্পর্কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এই ছেলেটা রাখাইনে তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিল। সে ভেবেছিল বাংলাদেশে নয়, রাখাইনেই তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ রয়েছে। কিন্তু তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত করে দ্রুত হত্যাকারী সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খলিলুর রহমান, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় পরিচালক হিমাংশু লাল রায়, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম প্রমুখ।