ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

কাশবনের আড়ালে উদ্দাম যৌনতা! ‘অশ্লীলতা’ রুখতে ঝোপে আগুন দিল স্থানীয়রা

দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, অক্টোবর ৪, ২০২১

কাশবনের আড়ালে উদ্দাম যৌনতা! ‘অশ্লীলতা’ রুখতে ঝোপে আগুন দিল স্থানীয়রা

দোরগোড়ায় দুর্গাপুজো। তার আগে আকাশের দিকে নজর গেলেই সাদা মেঘের হাতছানি। রাস্তার পাশে কাশবন। আর সেই কাশবনই যেন বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের গোলাপগঞ্জের চৌঘরীর বাসিন্দাদের। নিশ্চয়ই ভাবছেন, পুজোর (Durga Puja 2021) আগে এসব দেখে বিরক্তি লাগার তো কথা নয়। এবার তবে আসল কারণ খোলসা করা যাক।

 

সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের পাশে চৌঘরী এলাকার এক বাসিন্দা বালি রেখেছিলেন। ওই জায়গাটিই বর্তমানে কাশবনে পরিণত হয়েছে। কাশবনের খবর ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর থেকেই শরৎকালে কাশফুল দেখতে অনেকেই সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন। স্থানীয়দের দাবি, কাশবনের আনাচে কানাচেই চলছে নানারকম অশ্লীল কাজ। একাধিক যুবক-যুবতী মেতে উঠছেন উদ্দাম যৌনতায়। তা যথেষ্ট অশোভনীয় বলেই মনে করছেন অনেকেই।

 

বারবার বারণ করা সত্ত্বেও যুবক-যুবতীরা তা শুনছেন না বলেই দাবি স্থানীয়দের। তাই কীভাবেদৃষ্টিকটূ আচরণ বন্ধ করা হবে, তা নিয়ে মাথায় হাত এলাকাবাসীর। তাই ব্যতিক্রমী ভাবনাচিন্তা করলেন তাঁরা। রাগ করে কাশবনে আগুন জ্বালিয়ে দেন স্থানীয়রা। দাউদাউ করে জ্বলে যায় গোটা কাশবন। হইচই শুরু হয়ে যায়।

 

প্রসঙ্গে গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ফারুক আহমেদ বলেন, “আগুন কে বা কারা দিয়েছে, তা জানা যায়নি। স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করেও কিছু জানা যায়নি।

 

গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান কাসিমী বলেন, “শুনেছি কাশবন দেখতে মানুষ ভিড় করত। হঠাৎই সেটিতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আর বিষয়টি জানা নেই।

 

গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহম্মদ গোলাম কবির বলেন, “কাশবনকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল। কাশবনটি পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। কাশবনটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গায়। সরকারি জায়গায় হলে সেটি পর্যটন স্পটে রূপান্তর করা যেত।