সীমান্তে কড়াকড়ি আরও শিথিল করতে যাচ্ছে জাপান। কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে এতদিন তাতে বিধিনিষেধ আরোপ করা ছিল। আগামী অক্টোবর থেকে তা তুলে নিচ্ছে দেশটি। ফলে সেসময় থেকে ভিসা ছাড়াই দেশটিতে ঢুকতে পারবেন বিদেশিরা। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে জাপানের মুদ্রা ইয়েনের ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। গত ২৪ বছরের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। এ অবস্থায় সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে। এতে দেশটির পর্যটন খাত পুনরুদ্ধার হবে।
ইতোমধ্যে জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ঘোষণা করেছেন, সীমান্তে নীতি আরও সহজ করা হবে। ফলে আগামী ১১ অক্টোবর থেকে ভিসা ছাড়াই দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন পর্যটকরা। এজন্য ট্রাভেল এজেন্সির দ্বারস্থ হতে হবে না।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে প্রধানমন্ত্রী কিশিদা বলেন, গ্রুপ অব সেভেন দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা আরও নমনীয় করছে জাপান। এর ব্যতিক্রম দেখছি না। কারণ, মানুষ, পণ্য ও পুঁজির অবাধ প্রবাহে একটি স্বকীয় জাতি হিসেবে বিকাশ লাভ করেছি আমরা।
কিছুদিন আগে জাপানকে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ অধিকতর শিথিল করার আহ্বান জানায় ব্যবসায়িক লবি ও ভ্রমণ সংস্থাগুলো। অন্যথায়, বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হারাতে পারে দেশটি। একইসঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়তে পারে তারা।
বিশ্বজুড়ে করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে সীমান্তে বিধিনিষেধ দেয় জাপান। তবে গত জুন থেকে ধীরে ধীরে পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয় দেশটি। এরপর জুলাই পর্যন্ত মাত্র ৮ হাজার বিদেশি দেশটি ভ্রমণ করে। এতে ওই খাতে লোকসানের শঙ্কা দেখা দেয়।
জাপানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম উৎস পর্যটন খাত। ২০১৯ সালে দেশটিতে ৩ কোটি ২০ লাখ পর্যটক প্রবেশ করেন। এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে তারা।