২৮ বছর আগে ১৯৯৪ সালে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে জিয়াউল হককে (১৩) হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আপিল মঞ্জুর করে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম আশরাফুল হক জর্জ।
প্রসঙ্গত, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ১৯৯৪ সালের ১৩ মে বানিয়াচং উপজেলার আগুয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে জিয়াউল হককে (১৩) হত্যা করা হয়। পরদিন পঁচাসিংদা গ্রাম থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় জিয়ার মা রূপচান বিবি মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শেষে ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। তাদের মধ্যে এক আসামি বিচার চলাকালীন সময়ে মারা যান।
এরপর বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৯ মে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভীন ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
আসামিরা হলেন— বানিয়াচং উপজেলার টুপিয়াজুরি গ্রামের আলী হায়দার, একই গ্রামের নূর মিয়ার ছেলে আব্দুল আহাদ, আগুয়া গ্রামের খুরশেদ আলীর ছেলে রেনু মিয়া, আগুয়া গ্রামের শাহিন মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়া ও আব্দুর রেজ্জাকের ছেলে রঞ্জু মিয়া।
পরে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি তারা খালাস চেয়ে আপিল আবেদন করেন। সেসব আবেদনের শুনানি শেষে রায় দিলেন হাইকোর্ট।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম আশরাফুল হক জর্জ জানান, মামলাটিতে ৫ আসামিকে বিচারিক আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। আপিল বিচারাধীন থাকার সময় আহাদ নামের এক জন মারা যান। হাইকোর্ট বিভাগ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করবো।
আদালত প্রতিবেদক |
আপডেট:
সোমবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ 
