পাপুয়া নিউগিনিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.৬। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।
এদিকে ভূমিকম্পের কারণে পাপুয়া নিউগিনিতে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া ঠিক কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটিরও কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য জানানো হয়নি।
ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৮০ কিলোমিটার (৪৯.৭ মাইল)। মার্কিন সুনামি সতর্কীকরণ ব্যবস্থা ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করেছিল কিন্তু পরে সুনামির আশঙ্কা কেটে গেছে বলে জানানো হয়।
অস্ট্রেলিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে সুনামির কোনো আশঙ্কা দেখা দেয়নি বলে দেশটির আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে।
রয়টার্স বলছে, ভূমিকম্পের পর পাপুয়া নিউগিনির বাসিন্দারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও গাড়ি এবং সুপারমার্কেটের তাক থেকে পড়ে যাওয়া জিনিসপত্রের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছেন।
পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিকম্পের ঘটনা বেশ সাধারণ। এই দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত। এছাড়া টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে ঘর্ষণের কারণে ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপের জন্য এই অঞ্চলটি একটি হটস্পট।
এর আগে ২০১৮ সালে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে পাপুয়া নিউগিনিতে। সেসময় দেশটিতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায় এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।