ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১

বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের

তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের ওপেক্স এন্ড সিনহা গ্রুপের শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।

 

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় কাঁচপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে পণ্যবাহীসহ সব গাড়ি চলাচল বন্ধ যানজটের সৃষ্টি হয়।

 

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে ওই কারখানার কয়েক হাজার শ্রকিম মহাসড়কে টায়ার জালিয়ে অবরোধ করে রাখে।

 

শ্রমিকদের অভিযোগ, বুধবার সকালে তাদের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেতনের বদলে নোটিস দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে তারা। পরে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে।

 

বিষয়ে ওপেক্স এন্ড সিনহা গ্রুপের পরিচালক (প্রশাসন) মো. তোহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নোটিসের বাইরে কোনো কথা বলতে চাননি।

 

ব্যাংক ঋণের দায়, অ্যাকর্ড-এলায়েন্সের নিরাপত্তা সনদ শ্রমিকদের বেতন ওভারটাইমসহ বিভিন্ন কারণে সঙ্কটের মুখে রয়েছে আশির দশকের বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ এই পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।

 

এরই মধ্যে গত জুন প্রায় ১০০ কোটি টাকা বকেয়া আদায় করতে না পেরে ওই কারখানার গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ। পুনরায় দিন পর গ্যাসের বকেয়া টাকা দিয়ে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়।

 

তিতাসের সোনারগাঁ জোনের ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, মালিকপক্ষ কিস্তিতে তিতাসের বকেয়া বিল পরিশোধের অঙ্গীকার করায় জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে পুনরায় সংযোগ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৪ জুন পুনরায় সংযোগ দেওয়া হয়।

 

খবর পেয়ে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (-অঞ্চল) মো. বিল্লাল হোসেন, সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। বিকালে শুরু হওয়া শ্রমিক আন্দোলন রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত .৩০ মিনিট পর্যন্ত শ্রমিক আন্দলন চলে।

 

শ্রমিকরা জানান, এর আগেও তারা বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনও সমাধান হয়নি। তাদের তিন মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে।

 

তারা বলেন, আমাদের বাড়ি ভাড়া, দোকান বাকি, সংসার খরচ চালাতে পারছি না। অনেক পরিবার না খেয়ে দিন পার করছে। আমাদের দেখার মতো কেউ নেই। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

 

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের রাস্তা থেকে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। আশা করছি দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক হবে। সিনহা এন্ড ওপেক্স গ্রুপের মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।