কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পূর্বঘোষিত বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলকে কেন্দ্র করে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নাঙ্গলকোট বাজারে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা বাজারের বটতলা এলাকায় নির্মিত লোটাস কামাল চত্ত্বর, নৌকার তোরণসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালিয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, সকাল থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাজারের খিলা সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হতে থাকে। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। কর্মসূচির অনুমতির বিষয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বিএনপি নেতাকর্মীদের। ওই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও কাঁদানোগ্যাস নিক্ষেপ করে। এক পর্য়ায়ে পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে শুরু হয় দুই দলের নেতাকর্মীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজির আহমেদ ভুঁইয়া বলেন, জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা নিহতের প্রতিবাদে আমাদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি ছিলো। সকাল ৯ টায় মিছিলের শুরুতে পুলিশ আমাদের অন্যায়ভাবে লাটিপেটা করে। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। এতে আমাদের ২০ জনের বেশি কর্মী আহত হয়েছে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি।
উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সাদেক হোসেন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেই। বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা আমাদের নেতা ও সরকারের অর্থমন্ত্রীর নামে নির্মিত লোটাস কামাল চত্ত্বর, নৌকার তোরণসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করেছে।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আমাদের ৫ জনের বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আমি আহত সদস্যদের সেবা নিয়ে ব্যস্ত আছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।