নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বুধবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
গোপালগঞ্জের
টুঙ্গিপাড়ায় বিদ্যালয়ের মাঠকে নিজের সম্পত্তি দাবি করে পুরো
মাঠে কলাগাছ রোপনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একজনের বিরুদ্ধে।
দীর্ঘ
দেড় বছর পর গত
১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দিন গোপালপুর পঞ্চপল্লী
উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গাছ লাগানোর
বিষয়টি সবার নজরে আসে।
মাঠের চারপাশে দেওয়া হয়েছে বেড়া। তবে অভিযুক্তের দাবি,
জমির মালিকানার সব কাগজপত্র তার
আছে।
বিলবেষ্টিত
নিম্মজলা ভূমি অঞ্চল গোপালগঞ্জের
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন। শিক্ষর প্রসারে ১৯৫৮ সালে এখানকার
গোপালপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত করা হয় গোপালপুর
পঞ্চপল্লী উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টিতে
বর্তমানে ১১ জন শিক্ষক,
৩ জন কর্মচারি ও
৮৫২ জন শিক্ষর্থী রয়েছে।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর
গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে
শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষর্থীরা বিদ্যালয়ে
এসে দেখতে পান তাদের বিদ্যলয়ের
মাঠটি কলা গাছের চারা
লাগিয়ে দখল করেছেন উপেন্দ্রনাথ
টিকাদার নামক স্থানীয় এক
ব্যাক্তি।
বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার বাড়ৈ
তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও উপজেলা মাধ্যমিক
শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
এ
বিষয়ে তিনি বলেন, আমি
১৫ বছর ধরে এই
স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে আছি। এতদিন এই
মাঠ কেউ নিজের বলে
দাবি করেননি। এই মাঠ স্কুলের
নামে রেকর্ড করা সম্পত্তি। নিয়মিত
এই জমির খাজনা স্কুলের
পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।
আমি বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
তিনি
আরও জানান, গত দুই-তিন
মাস আগে স্কুলের মাঠে
বালু ভরাট করার সময়
গোপালপুর গ্রামের উপেন্দ্রনাথ টিকাদার এই জায়গা তার
পৈতৃক সম্পত্তি বলে বাধা দেন।
পরে চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য
ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বালু ভরাটের কাজ
শেষ হয়।
এদিকে
গাছ লাগানোর কথা স্বীকার করে
অভিযুক্তের দাবি, জমিটি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি।
জমির
দাবিদার উপেন্দ্রনাথ টিকাদার বলেন, মাঠটি আমার পৈতৃক সম্পত্তি।
স্কুলের নামে কীভাবে রেকর্ড
হলো তা আমার জানা
নেই। স্কুলের জমি লাগলে আরও
দেব। কিন্তু জমিদাতা হিসেবে স্কুলে আমার নাম থাকুক।
স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার কথা
জানালেও কোনো সমাধান না
করায় আমি বেড়া দিয়ে
গাছ লাগিয়ে দিয়েছি।
উপজেলা
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহ জালাল
জানিয়েছেন, শিক্ষার পরিবেশ যাতে বিঘ্নিত না
হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি টুঙ্গিপাড়ার
ইউএনওকে জানানো হয়েছে।
তবে
ঘটনার এক সপ্তাহ পেরুলেও
বিদ্যালয়ের মাঠটি দখল মুক্ত করতে
পারেনি উপজেলা প্রশাসন।