যশোর শহরে মহিম হোসেন ফরাজি (১৭) নামে এক কিশোর ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। এ খবর জানতে পেরে তার প্রেমিকা (১৪) হাত কেটে ও তুঁতে খেয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। রোববার (০৭ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে।
মহিম হোসেন ফরাজি যশোর শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়া বউবাজার এলাকার তোরাব আলী ফরাজির ছেলে। তার প্রেমিকাও একই এলাকার বাসিন্দা।
মাহিমের আত্মীয় মমিনুর রহমান জানান, শনিবার দুপুরে মহিম প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়ির সামনে যায়। এ সময় প্রেমিকার স্বজনরা মহিমকে ধরে মারপিট করে। এ অপমান সহ্য করতে না পেরে রোববার ভোরে নিজ বাড়িতে কাঁঠাল গাছের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে মারা যায় মাহিম।
এদিকে রোববার দুপুরে দিকে মহিমের মৃত্যুর খবর জানতে পারে প্রেমিকা। সে সময় সেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। অসুস্থ অবস্থায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মেডিসিন ওয়ার্ডের বিশেষজ্ঞ ডা. আবু হায়দার মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান বলেন, প্রেমিকা সামান্য তুঁতে খাওয়ায় শরীরে বিষ ছড়াতে পারেনি। ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে আশা করি।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিমান তরফদার বলেন, মৃত মহিম হোসেনের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের দাবি, প্রেমঘটিত কারণে মহিম আত্মহত্যা করেছে। বাকিটা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।