চীনের কঠোর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও তাইওয়ান সফরে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তার সফরকে ঘিরে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ আগস্ট) তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে চীনের ২১টির মতো যুদ্ধবিমান টহল দিয়েছে, এমন দাবি করেছে তাইপে।
দ্বীপটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টুইটারে একটি বিবৃতিতে বলেছে, চীনের ২১টি পিএলএ এয়ারক্রাফট তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্ত অঞ্চলে (এডিআইজেড) প্রবেশ করে ২ আগস্ট।
তবে দাবি করা হয় এডিআইজেড অঞ্চলের মধ্যে চীনের নিজস্ব এডিআইজেডের অনেক বড় একটি অংশ পড়ে। এমনকি এর মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ডেরও কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এদিকে, দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে ঘিরে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই তাইপেতে পৌঁছান পেলোসি।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় ১০টা ৪৪ মিনিটে তাকে বহন করা উড়োজাহাজটি তাইপের মাটি স্পর্শ করে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে করে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে তিনি তাইপেতে পৌঁছান। সেখানে তাইওয়ানের প্রতিনিধি দল তাকে স্বাগত জানান।
গত ২৫ বছরের মধ্যে তাইওয়ান সফর করা সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ মার্কিন রাজনীতিবিদ পেলোসি। তবে তার এই সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সমর্থন দেননি বলে খবর পাওয়া গেছে।
তাইওয়ানে পৌঁছানোর পর টুইটারে পেলোসি বলেন, তার প্রতিনিধিদলের সফর ‘তাইওয়ানের গতিশীল গণতন্ত্রের’ প্রতি আমেরিকার অবিচল প্রতিশ্রুতিকে সম্মানিত করেছে।
তাইওয়ান বলছে, ন্যান্সি পেলোসির এই সফর ওয়াশিংটনের দেশটির প্রতি জোরালো সমর্থনকেই প্রমাণ করে।
তাইওয়ানের গণমাধ্যমগুলো বলছে, বুধবার (৩ আগস্ট) তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইংওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ন্যান্সি পেলোসি। এরপর তিনি তাইওয়ানের পার্লামেন্টে যাবেন। এ ছাড়া তিনি মানবাধিকার জাদুঘরও প্রদর্শন করবেন।
সোমবার (১ আগস্ট) এশিয়া সফরে নিজের প্রথম গন্তব্য সিঙ্গাপুরে পৌঁছান তিনি। এছাড়া তার সফরসূচিতে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান।
তাইওয়ান স্বতন্ত্র দাবি করলেও চীন তাইওয়ানকে নিজেদের বলে মনে করে। এর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট তাইওয়ানকে একত্র করার ঘোষণাও দেন। অন্যদিকে, তাইওয়ানকে আক্রমণ করলে যথাযথ জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: এএফপি