জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১
পাহাড়ে
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে কম জনসংখ্যার দিক দিয়ে তৃতীয় খিয়াং। সর্বশেষ জরিপে এদের জনসংখ্যা
প্রায় ২ হাজার। তবে সময়ের সঙ্গে তাদের জনসংখ্যা বাড়ার বদলে কমছে, বলছেন খিয়াংরা।
রাঙামাটির
রাজস্থলীর কুক্যাছড়ি, ধনুছড়া, আরাছড়ি; কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনায়; বান্দরবান জেলায় গুংরু,
ডোবাছড়িতে এদের মূল বসবাস। এ ছাড়া চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, কক্সবাজারের মালুমঘাটসহ কিছু
এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে এদের বসবাস রয়েছে।
পিতৃতান্ত্রিক
সমাজের খিয়াংরা বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মানুসারী। ক্ষুদ্র এই গোষ্ঠীতে ৩ জন এমবিবিএস
সম্পন্ন চিকিৎসক আছেন। তবে এখন পর্যন্ত নেই কোনো বিসিএস কর্মকর্তা।
খিয়াং
কল্যাণ সংস্থার সহসভাপতি অংথুই খিয়াং জানান, খিয়াংদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি আছে। কিন্তু
তা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্য আর পরিবারের হাল ধরতে গিয়ে শিক্ষাকে বিসর্জন
দিতে হয় খিয়াং ছেলেদের। মেয়েরা পারিবারিক ও সরকারিভাবে শিক্ষার সুযোগ পেলেও তাঁদের
অনেকে অন্য সম্প্রদায়ে বিয়ের বন্ধনে জড়িয়েছেন। এতে কমেছে খিয়াংদের সংখ্যা, তেমনি হারিয়ে
যাচ্ছে ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য।
এদিকে
পার্বত্য চট্টগ্রামে এদের কোথাও নেই খিয়াংদের জনপ্রতিনিধি। জেলা পরিষদে খিয়াংদের থেকে
প্রতিনিধি থাকার কথা হলেও পাংখোয়া থেকে তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করা হচ্ছে।
এ
সম্পর্কে অংথুই খিয়াং বলেন, ‘দুঃখ-কষ্ট বোঝার মতো কোনো প্রতিনিধি আমাদের নেই। সরকারি
চাকরি থেকে কোটা তুলে নেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের অস্তিত্ব আরও হুমকিতে পড়েছে। রাষ্ট্র
যদি স্বপ্রণোদিত হয়ে না দেখে, তাহলে আমাদের অস্তিত্ব অচিরেই হারিয়ে যাবে।’
রাঙামাটি
ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক রনেল চাকমা বলেন, ‘আমাদের যে বরাদ্দ
আসে তা সংস্কৃতি বা গবেষণার কাজে দিয়ে থাকি। খিয়াংদের মধ্যে থেকে কেউ আবেদন করলে তা
আমরা দেখতে পারি। তবে তাদের অধিকারের বিষয়টি রাষ্ট্র থেকে নির্ধারণ করতে হবে।’