জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১
ঘটনাটি
কুষ্টিয়ার কুমারখালী ইউনিয়নের। ৩ মাস আগে মোবাইলে পরিচয় হয় জাহিদুল (২০) এবং নবম শ্রেণির
এক ছাত্রীর (১৪)। ৩ মাসের যোগাযোগে প্রেম হয়, নেয় বিয়ের সিদ্ধান্ত। এরই ধারাবাহিকতায়
গত ৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকালে পালিয়ে দুজন ঢাকায় চলে আসে।
তবে
ঢাকায় এসে মত বদলায় জাহিদুল, বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এমন পরিস্থিতিতে দুজন আবার
গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে। পরে রোববার দুপুরে বিয়ের দাবিতে শিলাইদহ ইউনিয়নের ছোট মাজগ্ৰামে
জাহিদুলের বাড়িতে অনশনে বসেন ওই ছাত্রী। তখন জানতে পারেন প্রেমিক জাহিদুল প্রায় ৫ মাসে
পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। অথচ এত দিন ঘুণাক্ষরেও এই ঘটনা টের পায়নি
নাতুরিয়া মাধ্যমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী।
সোমবার
সকালে ওই স্কুলছাত্রী বলেন, 'প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর
বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আমাকে ঢাকা নিয়ে যায় জাহিদুল। ঢাকা যাওয়ার পর বিয়ের করতে অসম্মতি
জানালে কৌশলে ওর সঙ্গে গ্রামে ফিরে আসি এবং রোববার দুপুর থেকে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছি।
অনশনে বসে জানতে পারি জাহিদুল ৫ মাস আগে বিয়ে করেছে।'
এ
বিষয়ে প্রেমিক জাহিদুল বলেন, মোবাইলে প্রথমে পরিচয় এবং পরে গভীর প্রেম। আমি তাঁকে বিয়ে
করতে রাজি, কিন্তু আমি পূর্বে বিবাহিত হওয়ায় পরিবার মানছে না।
কুমারখালী
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, তবে
এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি।