ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১
রাজশাহী
মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে একটি গাছ কাটায়
সেখান থেকে পড়ে শতাধিক
শামুকখোল পাখির বাচ্চা মারা গেছে।
আজ
শনিবার দুপুরের পর এই ঘটনা
ঘটেছে। বেশির ভাগ বাচ্চা গাছ
থেকে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে
মারা যায়। আর যেগুলো
বেঁচে ছিল, সেগুলোকে জবাই
করে নিয়ে গেছেন নির্মাণ
শ্রমিকেরা।
হাসপাতালের
সামনের গাছগুলোতে কয়েক বছর ধরেই
আবাস গড়েছে শামুকখোল পাখি। সেখানে পাখিরা ডিম দেয়, বাচ্চা
তোলে।
সরেজমিনে
গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের
সামনে ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। আর
তাই সেখানে কাটা হয়েছে একটি
অর্জুন গাছ। সেই গাছ
থেকেই পড়েছে পাখির বাচ্চাগুলো। সেখানে ২০ থেকে ২৫টি
মৃত পাখির বাচ্চা পড়ে থাকতে দেখা
গেছে।
বিকেল
সাড়ে ৫টার দিকে জবাই
করা আরও কিছু শামুকখোলের
বাচ্চা বস্তায় ভরছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। তাঁদের একজন গোদাগাড়ী উপজেলার
রাজাবাড়ীহাট এলাকার মো. বকুল (২২)। বকুল বলেন,
গাছটি পড়ে যাওয়ার সঙ্গে
সঙ্গে পাখির বাচ্চাগুলোও পড়ে যায়। যেগুলো
বেঁচে ছিল, সেগুলো তাঁরা
জবাই করেন। এখন বাড়ি নিয়ে
যাচ্ছেন।
বকুলসহ
কয়েকজন শ্রমিককে অন্তত ৩০টি বাচ্চা বস্তায়
ভরে নিয়ে যেতে দেখা
গেছে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য দেখছিলেন
পাবনার দাশুরিয়া থেকে আসা এক
রোগীর স্বজন মিলন প্রামাণিক (৪০)। মিলন বলেন,
সব মিলিয়ে শতাধিক পাখির বাচ্চা মাটিতে পড়ে গেছে। দুপুরের
দিকে অনেক রোগীর স্বজনেরাও
কিছু পাখির বাচ্চা নিয়ে গেছেন।
এ
বিষয়ে কথা বলার জন্য
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী ও উপপরিচালক ডা.
সাইফুল ফেরদৌসের নম্বরে কল করা হলে
তাঁরা রিসিভ করেননি।
রামেক
হাসপাতালে পাখির বাচ্চার এমন মৃত্যু নিয়ে
উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষক হাসনাত রনী। তিনি বলেন,
শুধু পাখির বিষ্ঠার কারণে এর আগে রামেক
হাসপাতালে গাছ ও গাছের
ডালপালা কেটে ফেলতে দেখা
গেছে। এবার গাছ কাটার
কারণে এতগুলো পাখির বাচ্চার মৃত্যু হলো। পাখিদের প্রতি
এমন অবহেলা ও নিষ্ঠুরতা মেনে
নেওয়া যায় না। যেখানে
পাখির বাচ্চাদের প্রতি একটু সহানুভূতি দেখানো
হয় না, সেখানে মানুষের
কি চিকিৎসা হয়, তা নিয়ে
আমার প্রশ্ন আছে।