বিশেষ প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, আগস্ট ২৮, ২০২১
দক্ষিণাঞ্চলের শীতলপাটিতে দুঃখ বোনা পাঁচশতাধীক পরিবারের সহস্রাধিক কারিগর ভালো নেই।
শীতল পাটি বাংলার সুপ্রাচীন এক কুটিরশিল্পের নাম। শীতল পাটি আমাদের সভ্যতা,
কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের অংশ। এছাড়া বাংলাদেশের শীতল পাটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্যেরও অংশ।
২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনে ঐতিহ্যবাহি এ হস্তশিল্পকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্ব দরবারে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।
গৃহস্থালির নানা দরকারি জিনিসের মধ্যে বিশেষ স্থানজুড়ে থাকা এ শীতলপাটি প্রচন্ড গরমে ক্লান্তি দূর করে শীতল বয়ে আনে। মানুষের জীবনযাত্রার এক অনন্য অনুষঙ্গ হচ্ছে এ পাটি। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার এ যুগেও যার চাহিদা এতটুকু কমেনি।
শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় ফুটে উঠে বর্ণিল ফুল,
ফল,
পশুপাখি ও প্রিয়জনের অবয়ব এমনকি জ্যামিতিক গাণিতিক নকশাও।
শীতল পাটিকে ঘিরে যুগে যুগে কত গান,
কত কাব্য রচিত হয়েছে;
তার ইয়ত্তা নেই।
“আসুক আসুক মেয়ের জামাই,
কিছু চিন্তা নাইরে,
আমার দরজায় বিছাই থুইছি,
কামরাঙা পাটি নারে।”
পল্লীকবি জসিমউদদীন তাঁর
‘নকশীকাঁথার মাঠ’
কাব্যগ্রন্থে কামরাঙা নামক শীতলপাটির বর্ণনা এভাবেই দিয়েছেন।
আগের দিনে যখন বিদ্যুৎ ছিল না,
তখন কাঁথা বা তোশকের ওপর মিহি বেতের নকশি করা এক ধরনের পাটি ব্যবহার হতো। তাতে গা এলিয়ে দিলে শরীর বা মনে শীতল পরশ অনুভূত হতো। তাই নাম দেওয়া হয়েছিল
“শীতল পাটি।”
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাটির রয়েছে নানা ধরনের নাম ও ব্যবহার। আজকাল এ শীতল পাটি শুধু বিছানায় ব্যবহার হয় না,
বরং রুচিসম্মত সাজসজ্জার উপকরণ,
বাতির জন্য শেড,
নকশী মাদুর,
খাওয়ার টেবিলের ম্যাট,
চশমার খাপ,
সুকেস,
ব্যাগ,
দেয়াল হ্যাঙ্গার ইত্যাদিতে শীতল পাটির বহুল চাহিদা রয়েছে।
ফলে শীতল পাটি বহুদিন ধরে ব্যবহার প্রচলিত হওয়ায় এর দামও এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া শীতল পাটিকে চিত্তাকর্ষণীয় করার জন্য বিভিন্ন ডিজাইনে তৈরি করা হচ্ছে।
শীতল পাটি তৈরির প্রধান উপাদান হলো
‘পাইত্রা’। অঞ্চল ভেদে কোথাও পাইত্রাকে মোরতা বা হারিযাতা গাছ,
কোথাও পাটিগাছ বলা হয়ে থাকে। এ গাছ ঝোঁপ-ঝাঁড়ে,
জঙ্গলে,
জলাশয়,
রাস্তার ধারে ও পাহাড়ের পাদতলে জন্মে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার ন্যায় দক্ষিণাঞ্চলের তিন জেলায় বাণিজ্যিকভাবে শীতল পাটি তৈরি হয়।
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ,
ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর এবং পিরোজপুর জেলার কাউখালি উপজেলার শীতল পাটির খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে ভারতবর্ষ জুড়ে।
তিন উপজেলার চার গ্রামে পাঁচ শতাধীক পরিবারের সহস্রাধিক নারী-পুরুষ-শিশু দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলছে শীতল পাটি তৈরির পেছনে।
পাটির কারিগররা জানান,
জমি থেকে পাইত্রা গাছ কেটে প্রথমে ছাঁটা হয়। তারপর ধারালো দা-বটি বা ছুরি দিয়ে লম্বালম্বি কেটে নিপুণ হাতে বেতি তৈরি করে ভাতের মাড়ে ভিজিয়ে রাখা হয়। পরে ভাতের মাড় ও পানির মিশ্রণে সেগুলো সিদ্ধ করা হয়। পরে পানি দিয়ে পরিস্কার করে রোদে শুকিয়ে শুরু হয় মসৃণ শীতল পাটি তৈরির কাজ।
অসম্ভব ধৈর্য আর চমৎকার নৈপুণ্যের সমাহারে সমৃদ্ধ একটি শিল্পকর্ম শীতলপাটি বুনন কাজ।
কারিগররা আরও জানিয়েছেন,
এক সময় শীতল পাটির যেমন ছিলো চাহিদা ও বাজারমূল্য,
তেমনি নামমাত্র দামে পাইত্রা ছিলো গ্রামের সর্বত্র। বরিশাল অঞ্চলের তিনটি গ্রামের পাঁচশতাধীক পরিবার কয়েক যুগ ধরে শীতল পাটি শিল্পের সঙ্গে জড়িত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
কিন্তু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব,
সঠিক মূল্য না পাওয়া,
স্বল্পমূল্যের প্লাস্টিকের পাটি বাজার দখল করা এবং পাইত্রা চাষের জমিতে ফসল ফলানোয় দিন দিন এ পেশা ছেড়ে দিচ্ছে অনেকে।
শীতল
পাটির গ্রাম
ঝালকাঠি জেলায় রাজাপুর উপজেলার হাইলাকাঠি এবং ডহরশংকর গ্রামের তিন শতাধীক পরিবার এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এরা সবাই পাটি বুনে জীবিকা নির্বাহ করে। পুরাতন ঐতিহ্যের কারু হাতে গড়া শীতল পাটির জন্য এই গ্রাম দুটিকে
‘শীতল পাটির’
গ্রামও বলা হয়।
ভবতাজ পাটিকর জানান,
আগে গরম এলেই শীতল পাটির চাহিদা অনেক বেশি ছিল। এখন আর আগের মতো নেই। বর্তমানে প্লাস্টিকের তৈরি পাটি বাজার দখল করেছে।
দুই সন্তানের লেখাপড়া চালানো এবং চার সদস্যের পরিবারের ভরন-পোষন চালানো এখন দ্বায়;
বলেছেন হাইলাকাঠি গ্রামের পাটিকর ভবতাজ।
একই গ্রামের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী মৌসুমি
(পাটিকর)
জানায়,
আমাদের পরিবারের সকলেই পাটি বুনতে পারে। পড়ালেখার পাশাপাশি বাবা-মাকে সহযোগিতা করার জন্য পাটি তৈরি করি। এতে সংসারের উপার্জন বৃদ্ধি পায়।
রাজাপুর উপজেলা পাটিকর শিল্পী সমিতির সভাপতি বলাই চন্দ্র জানান,
গ্রাম দুটির ৭০০-৮০০ হেক্টর জমিজুড়ে পাইত্রা গাছের বিশাল বাগান। উপজেলার দুটি গ্রামের দুই শতাধীক পরিবার পাটি তৈরির উপর নির্ভরশীল।
তিনি আরও জানান,
পারিবারিক ও উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া পাটিকররা শৈল্পিক উপস্থাপনা এবং নির্মাণ কুশলতায় রকমারি কাজ করে থাকেন। ৩-৪ জন মিলে ২-৩দিনে একটি পাটি তৈরি করা যায়। যা বিক্রি করা হয় ৫০০ থেকে ১৫শ’
টাকা। মহাজনরা প্রতি পাটিতে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা লাভ করেন। পাইত্রা চাষ ও কেনার জন্য প্রচুর মূলধন প্রয়োজন হয়।
আগের চেয়ে পাইত্রা দাম বৃদ্ধি পেলেও পাটির দাম এবং চাহিদা অনেক কম;
জানালেন পাটিকর সমিতির এই নেতা।
পেটেভাতে পূর্বপুরুষের পেশা:
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামে ঢুকতেই দুই পাশে দেখা মিলবে বড় বড় পাইত্রা বা মোর্তাগাছের ঝোপ। বাড়ির আঙিনা,
পরিত্যক্ত ফসলি জমি,
পুকুরপাড়-
সর্বত্রই বর্ষজীবী উদ্ভিদ পাইত্রাগাছ মাথা তুলে আছে। গ্রামীণ জনপদের আভিজাত্যের স্মারক শীতলপাটি তৈরি হয় এই পাইত্রাগাছের বেতি দিয়ে।
জানা যায়,
কাঁঠালিয়া গ্রামে পাইত্রাগাছের আবাদ হয়েছে গ্রামের গোড়াপত্তনের শুরুতে। আর গ্রামটি ঠিক কবে গোড়াপত্তন হয়েছে,
তা এখনকার বাসিন্দারা জানেন না। তাদের পূর্বপুরুষরা যে পেশায় নিয়োজিত ছিলেন,
আজও সেই পেশা ধরে রেখেছেন কাঁঠালিয়াবাসী। এক গ্রামে টিকে আছে ৪৫ পরিবারে প্রায় ৩২০ জন বাসিন্দা। সবার পেশাই শীতলপাটি বুনন।
ফলে ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামটি দলিল-দস্তাবেজে পরিচিত থাকলেও মুখে মুখে
‘পাটিকর গ্রাম’
নামে সমধিক পরিচিত।
গ্রামের চন্দন পাটিকর জানান,
পরিবারের ৬ সদস্য মিলে প্রতিদিন একটি পাটি তৈরি করি। প্রতিজনে দৈনিক মজুরি ২৫ টাকা করেও আসে না। তারপরও করার কিছু নেই;
বাপ-দাদার পেশা হিসেবে এখনো শীতলপাটি বুনে যাচ্ছি।
পেটেভাতে দিন পার করছি। পাটি বুনে এখন আর লাভ নেই।
পাটিকর ভবতোষ চন্দ্র বলেন,
শীতলপাটি টিকিয়ে রাখতে হলে ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া উচিত। ঋণ নিয়ে আমরা শীতল পাটি তৈরি ও বিক্রি করে সেই টাকা পরিশোধ করতাম। নয়তো এই পেশায় টিকে থাকা দুঃসাধ্য।
শিতলপাটির স্থানীয় ফেরিওয়ালা বিমল চন্দ্র মন্ডল বলেন,
গ্রাম ও শহরে শীতলপাটি বিক্রি করে একসময় পাঁচ সদস্যের সংসার ভালো চলত। কিন্তু এখন আর সেই উপায় নেই। তার ওপর করোনার আঘাতে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি।
হারিয়ে
যাচ্ছে পাইত্রা বনের জমি
ভারতবর্ষ জুড়ে খ্যাতি অর্জনকারী পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সুবিধপুর গ্রামের শীতল পাটি আজ নানামুখী সমস্যায় বিলুপ্তির পথে। আর্থিক অনটন,
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও শিল্পের প্রয়োজনীয় উপকরণের দুস্প্রাপ্যতা,
ক্রেতা স্বল্পতায় মানবেতর জীবনযাপনের কথা বলছেন এখানকার পাটি কারিগররা।
সঠিক পৃষ্টপোষকতার অভাবে গ্রামের প্রায় ৪৫টি পরিবারের শতাধীক কারিগর চরম দুর্দিনের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
স্থানীয় পাটিকর অনিল চন্দ্র জানান,
পাটি তৈরির একমাত্র কাঁচামাল পাইত্রা। সুবিধপুর গ্রামে এক সময় প্রায় ৮০-৯০ একর জমিতে পাইত্রা বন ছিল। গ্রামের পাটিকর পরিবারগুলো যৌথভাবে এই জমিতে পাইত্রা গাছ চাষ করত। কিন্তু সময়ের পট-পরিবর্তন,
অভাবের তাড়না এবং ভূমিদস্যুদের কারণে সেই বনের জমি বিক্রি করতে হয়েছে তাদের।
তিনি আরও জানান,
বছরের পর বছর ধরে গ্রামের নারী-পুরুষদের একমাত্র কাজ
(শীতল পাটি বুনন)
করার অবলম্বন পাইত্রার অভাবে তারা মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে। পাইত্রা চাষের বনে এখন ঘর-বাড়ি অথবা ফসলের চাষাবাদ চলছে। ফলে তারা আজ অনেকটাই নিঃস্ব ও অসহায়।
গ্রামের ২-৪টি স্থানে স্বল্প সামান্য জমিতে পাইত্রা চাষ করে পূর্বপুরুষদের শেখানো কর্ম টিকিয়ে রাখছেন বলেন জানালেন পাটিকর অনিল চন্দ্র।
পাটিপাড়া খ্যাত সুবিধপুর গ্রামের পাটিকর আরতি রানী জানায়,
শিশু বয়স থেকেই পাটি বুননের কাজ করছি। বাবার সংসারে করেছি,
এখন স্বামীর সংসারেও করছি। কিন্তু বর্তমানে এই কাজে সমস্যার শেষ নেই। আগে নিজেদের পাইত্রার জমি ছিল। আর এখন ভালো পাইত্রা পাওয়া যায়না। যা পাওয়া যায় তার দাম প্রচুর।
আরতি রানী জানান,
আগে এক পন
(৮০পিস)
পাইত্রা ৫০ টাকায় পাওয়া যেত। এখন সেই পাইত্রা বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। তারপরও পাইকাররা পাটির ভালো দাম দিচ্ছে না।
ছয় সদস্যের পরিবারের সকলে এই কাজ করেও ঋণে জর্জরিত বলে জানান তিনি।
পেশা
বদলেছেন অনেকে :
দক্ষিণাঞ্চলের পাটিকর গ্রামগুলোর অনেকইে পেশা বদল করে ঝুঁকে পড়ছেন প্লাস্টিক পাটি শিল্পে। আবার অনেকে পুরোপুরিভাবে পূর্বপুরুষদের পেশা থেকে বেড়েয়ি গেছেন।
নানাবিধ সমস্যা,
আর্থিক অনটনের কারণে শীতল পাটির কারিগররা দিন দিন বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হচ্ছেন বলে জানা গেছে পাটি পল্লীর বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে।
বরিশালের বাকেরগঞ্জের পাটিকর সঞ্জয় জানান,
আগের তুলনায় শীতলপাটির চাহিদা কম। আবার দাম বেশি হওয়ায় মানুষ কিনতে চায় না। এদিকে কম দামে প্লাস্টিকের পাটি কিনছে মানুষ বেশি।
সঞ্জয় বলেন,
শীতল পাটি বুনন ছেড়ে দিয়ে চাহিদা বেশি থাকায় কম দামের প্লাস্টিকের পাটিই বনন করছি।
পেশা বদলকারী রাজাপুরের ডহরশংকর গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ কুমার দত্ত বলেন,
আগে আমরা শীতলপাটির কাজ করতাম। তখন পরিশ্রমের ন্যায্যমূল্য পেতাম। কিন্তু এখন শীতলপাটি বিক্রি করে সংসারই চালাতে পারি না।
এখন বাধ্য হয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছেন সন্তোষ।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.
আবু সাঈদ মিয়া বলেন,
সুবিদপুরে গ্রামে শতাধিক পরিবার শীতল পাটি বুননের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বর্তমানে তারা অসহায় জীবনযাপন করছে।
শীতল পাটির ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সরকার যদি ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করেন তাহলে হারানো ঐতিহ্যকে আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে জানান তিনি।
ঝালকাঠীর রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.
মোক্তার হোসেন বলেন,
উপজেলার দুটি গ্রামের শীতল পাটির কারিগরদের করোনাকালে সহযোগিতা করা হয়েছে। পাটিকরদের কুটিরশিল্প রক্ষায় আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা তাদের সহায়তা করব,
বলেন এই কর্মকর্তা।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানান,
বরিশাল অঞ্চলের শীতল পাটির চাহিদা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রয়েছে। এখানকার পাটি শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হবে।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো.
সাইফুল হাসান বাদল জানান,
বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের শীতল পাটি ও অন্যান্য জিনিসপত্র আরো বাণিজ্যিকভাবে প্রসারিত করতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আল
মামুন, বরিশাল।