ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

সিনহা হত্যা মামলায় তাঁর সঙ্গী সিফাতের সাক্ষ্য শেষে জেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বুধবার, আগস্ট ২৫, ২০২১

সিনহা হত্যা মামলায় তাঁর সঙ্গী সিফাতের সাক্ষ্য শেষে জেরা

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আজ বুধবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। আদালত পরিচালনা করছেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। আজ বুধবার সাক্ষ্য দেন সিনহা হত্যা মামলার ২নং সাক্ষী ও সিনহার সঙ্গী সাহেদুল ইসলাম সিফাত। তাঁর সাক্ষ্য শেষ হলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে জেরা শুরু করেন।

আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জেলা কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয় সিনহা হত্যা মামলার ১৫ আসামিকে। তাঁরা হলেন পুলিশের তৎকালীন ৯ সদস্য ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আবদুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের তিন ব্যক্তি নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। এরপর সকাল পৌনে ১০টায় সব আসামিকে আদালতের এজলাসে তোলা হয়।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এজলাসে ঢোকেন মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। ১০ মিনিট পর প্রবেশ করেন মামলার ২নং সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাত। সাক্ষ্য দিতে আসেন আরও কয়েকজন সাক্ষী।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এই আদালতে আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছিলেন সিফাত। ওই সময় তিনি আদালতকে বলেন, সে দিন রাতে পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে রাস্তায় ঢলে পড়ে কাতরাচ্ছিলেন সিনহা মো. রাশেদ খান। ওসি প্রদীপ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে লিয়াকত আলীর সঙ্গে আড়ালে গিয়ে কথা বলেন। তারপর সিনহার কাছে গিয়ে উত্তেজিত কণ্ঠে আপত্তিকর ভাষায় গালাগালি করেন। সিনহা তখনো জীবিত ছিলেন এবং ‘পানি’ ‘পানি’ করছিলেন। তখন সিনহার বুকে লাথি মারেন প্রদীপ এবং পা দিয়ে সিনহার গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শাপলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত সিনহার সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন সিফাত। তিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।

আদালত সূত্র জানায়, ২৩ ও ২৪ আগস্ট আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ও সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এ সময় আসামিপক্ষের অন্তত ১২ জন আইনজীবী ঘটনার বিষয়ে তাঁকে দীর্ঘ জেরা করেন।

আদালতের কাঠগড়ায় বসে সিনহা হত্যা মামলার প্রধান আসামি প্রদীপের মুঠোফোনে কথা বলার ছবি ও খবর গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় আদালত অঙ্গনে সমালোচনা চলছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও আদালতের পিপি ফরিদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি তিনি বিচারকের নজরে আনবেন।