ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

সিনহা হত্যা: দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: মঙ্গলবার, আগস্ট ২৪, ২০২১

সিনহা হত্যা: দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

কক্সবাজারে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

 

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদলতের পিপি ফরিদুল আলম জানান, মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টায় প্রথম দিনে সাক্ষ্য দেওয়া মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসকে তিন আসামির জেরা দিয়ে এই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

 

সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন সোমবার ১৫ আসামির মধ্যে ১২ জনের আইনজীবীরা সাক্ষীকে জেরা করেন। মূলতবি ছিল তিনজনের জেরা।

 

মূলতবি জেরার তিন আসামি হলেন- টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং এএসআই লিটন মিয়া।

 

সকাল পৌনে ১০টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে প্রিজেন ভ্যানে করে ১৫ আসামিকে পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়েছে।

 

পিপি ফরিদুল বলেন, তিন আসামির জেরা শেষ হলে অন্য আসামিদের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।

 

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে পিছিয়ে যায়। পরে আদালত ২৩, ২৪ ও ২৫ অগাস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে।

 

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা।

 

এ ঘটনায় সে সময় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র‌্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।

 

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করে।

 

সিনহা নিহতের ছয় দিন পর লিয়াকত আলী ও প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনকারী আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল  রুবেল শর্মাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গত ২৪ জুন মামলার অন্য পলাতক আসামি টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

 

আসামিদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অন্য ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

 

তদন্ত শেষে গত বছর ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন র‌্যাব ১৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

 

মামলার আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, মোহাম্মদ মোস্তফা, এপিবিএনের তিন সদস্য এসআই মোহাম্মদ শাহজাহান, কনস্টেবল মোহাম্মদ রাজীব, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, পুলিশের মামলার তিন সাক্ষী নূরুল আমিন, নেজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ আয়াজ, টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাবেক এএসআই সাগর দেব।

 

গত ২৭ জুন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।