ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

জাল টাকার মামলায় পাপিয়া-সুমনের বিচার শুরু

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, আগস্ট ২৩, ২০২১

জাল টাকার মামলায় পাপিয়া-সুমনের বিচার শুরু

অস্ত্র আইনের মামলায় সোমবার ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে রায় ঘোষণার পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

 

জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমন সহ চার জনকে অভিযুক্ত করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ঢাকা অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম হাসিবুল হক রোববার চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ১৩ অক্টোবরে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ঠিক করে দিয়েছেন।

 

মামলায় অভিযুক্ত অপর দুই আসামি হলেন- পাপিয়াদের সহযোগী সাব্বির খন্দকার শেখ শেখ তায়্যিবা নূর।

 

পাপিয়া সুমনের উপস্থিতিতে শুনানির সময় তাদের আইনজীবী শাখাওয়ায়াতউল্লাহ ভূইয়া আদালতে অব্যাহতির আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।

 

শাখাওয়ায়াতউল্লাহ ভূইয়া পরে বলেন, জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে যে মামলা হয়েছিল, তদন্ত কর্মকর্তা দুই ভাগে তার অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন।

 

এর মধ্যে জাল টাকা উদ্ধারের বিষয়ে অভিযোগপত্র দণ্ডবিধির ধারার।  অপর অভিযোগপত্র দেওয়া হয় বিশেষ ক্ষমতা আইনে।দণ্ডবিধির ধারায় আজ অভিযোগ গঠন হল। বিশেষ ক্ষমতা আইনের অভিযোগপত্র এখনও শুনানিতে যায়নি।

 

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া তার স্বামী মফিজুর রহমানকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

সে সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়।

 

পরে পাপিয়ার ফার্মগেইটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ডেবিট কার্ড উদ্ধারের কথা জানায় ্যাব। অভিযান চালানো হয় পাপিয়ার নরসিংদীর বাড়িতেও

 

গ্রেপ্তারের পর পাপিয়া তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র মাদক আইনে দুটি মামলা করে ্যাব। বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়। এছাড়া মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে সিআইডি আরেকটি মামলা করে।

 

এর মধ্যে অস্ত্র আইনের মামলায় গতবছর ১২ অক্টোবর এই দম্পতির ২০ বছরের কারাদণ্ডের রায় হয়। আর মাদকের মামলায় বছর ১২ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।