ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

গাছে আসতে শুরু করছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ

মো. জসিম উদ্দিন, কলমাকান্দা প্রতিনিধি | আপডেট: শনিবার, ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২২

গাছে আসতে শুরু করছে আমের মুকুল,  ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ
নেত্রকোনার বর্ডার তীরবর্তী উপজেলা কলমাকান্দায় গাছে গাছে আসতে শুরু করছে আমের মুকুল। নানা ধরনের ফল-ফুলের সাথে সৌরভ ছড়াচ্ছে দৃষ্টিনন্দন মুকুলগুলো। বাতাসে ম ম গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে চারিদিক। যে ঘ্রাণ মনকে বিমোহিত করে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন  স্থানীয় কৃষক। উপজেলা তেমন আমের বাগান না থাকলেও প্রতি বড়িতে দু-চারটি করে আমের গাছ রয়েছে। আর নতুন সাজে যেন সেজেছে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলের আমের গাছগুলো। ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের গাছে মুকুল ফুটে শোভা ছড়াচ্ছে নিজস্ব মহিমায়।

স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেল, আমচাষ লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলায় প্রতিবছরই বাড়ির আঙ্গিনায়, বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় আমের বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে লাগানো আম গাছগুলোয়।

দেশি আমের পাশাপাশি আম্রুপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি জাতের আমের গাছেও রয়েছে প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি। 

ইতোমধ্যে এসব গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। আমের মুকুলে ভরপুর আর ঘ্রাণে সর্বত্র জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমনী বার্তা।

আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত চারপাশ দেশের শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত উত্তরের জেলা নেত্রকোনা এখন আমের জেলা হিসেবেও পরিণত হচ্ছে। যেদিকে চোখ যায় গাছে গাছে এখন শুধু দৃশ্যমান সোনালী মুকুলের আভা। মুকুলের ভারে নুয়ে পড়ার উপক্রম প্রতিটি গাছ। মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে। শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই সুমধুর কুহুতানে মাতাল করতে আবারও ফিরে আসছে বাংলার বুক মাতাল করতে ঋতুরাজ বসন্ত।

বাগান মালিক, কৃষি কর্মকর্তা ও আম চাষিরা আশা করছেন, বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলায় আমের বাম্পার ফলন হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এফএম মোবারক আলী বলেন, এবার আগাম মুকুল ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুলগুলো নষ্ট হবার সম্ভাবনা নেই। আমের মুকুলের পরিচর্যায় উকুন নাশক এভোমেট্রিন ও ছত্রাকনাশক মেনকোজেভ বালাইনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ জেলায় বাণিজ্যিকভাবে এখনো আম চাষ শুরু হয়নি। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এ বছর আমের উৎপাদন বেশি হবে বলে ধারণা করছেনে এই কৃষিবিদ।