দীর্ঘ শুনানি, সাক্ষীদের জবানবন্দি, জেরা ও আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে সোমবার ঘোষণা করা হবে মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায়। রায় ঘোষণার এরই মধ্যে সকল আসামিকে আদালতে আনা হয়েছে।
সকালে এই মামলার সকল আসামিকে আদালতে আনার কথা থাকলেও পরে তা পরিবর্তন করা হয়। পরে দুপুর ১টা ৫৭ মিনিটের দিকে আসামিদের আদালতে আনা হয়। তাঁদের আদালতের কাঠগড়ায় নেওয়া হয়।
রায়কে কেন্দ্র করে আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রায় শুনতে আদালতে রয়েছে উৎসুক জনতার ভিড়। উৎসুক জনতার বেশিরভাগই টেকনাফের বাসিন্দা।
এদিকে সাবেক ওসি প্রদীপের ফাঁসির দাবিতে সকাল থেকেই আদালত চত্বরে মানববন্ধন করছেন টেকনাফের সাধারণ মানুষজন।
আদালত পাড়ায় সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৮টার দিকে প্রায় শতাধিক পুলিশ সদস্য জজ কোর্ট এলাকার চারদিকে প্রতিবন্ধকতা (ব্যারিকেড) দিয়ে রাখেন। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলা পুলিশ আদালতে প্রবেশের একটি ফটক পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। পরে ঠিক নয়টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্ব সদস্যরা আদালত ছাড়েন।
পরে আবার বেলা ১টা থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বেলা দেড়টায় হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলেন, মিডিয়াকর্মী ছাড়া সবাই দয়া করে আদালত প্রাঙ্গন ছেড়ে যান।
গত বছর ২৭ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে এ হত্যা মামলাটির বিচারকাজ শুরু হয়। ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি সর্বশেষ দুই পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ রায়ের দিন নির্ধারণ করেন বিচারক।