পুলিশ সদস্যদের যাকে সন্দেহ হচ্ছে তাকে ডোপটেস্ট (মাদকাসক্তি পরীক্ষা) করানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি মো. হায়দার আলী খান। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে অন্তত ৩৭ জনকে ডোপ গ্রহণজনিত কারণে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহর চতুর্থ দিনের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
ডিআইজি মো. হায়দার আলী খান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশই প্রথম ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ সদস্যদের যাকেই সন্দেহ হয়েছে তারই ডোপ টেস্ট (মাদকাসক্তি পরীক্ষা) করানো হয়েছে। সরকারের অন্য কোনো বিভাগ আমাদের মতো সেভাবে ডোপ টেস্ট চালু করতে পারেনি।
মাদকাসক্তদের চিহ্নিত করার এই প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে ডিআইজি হায়দার বলেন, কোনো মাদকাসক্ত পুলিশে যোগদান করে কি না, সেটি আমরা প্রথমেই চেক করি। পরবর্তীতে প্রতিনিয়ত এই ডোপ টেস্ট করা হয়ে থাকে। কেউ যদি ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
পুলিশ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ভাষণে তিনি পুলিশের মাদক সংশ্লিষ্টতায় ক্ষোভ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।