ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

কৃষিতে স্বপ্ন বুনছেন মানিকগঞ্জের যুবকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, জানুয়ারী ১৭, ২০২২

কৃষিতে স্বপ্ন বুনছেন মানিকগঞ্জের যুবকরা
কৃষিতে স্বপ্ন বুনছেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গিলন্ড এলাকার শিক্ষিত যুবকরা। উপজেলার গিলন্ড এলাকার যুবকরা উচ্চ শিক্ষিত হয়েও চাকুরির পিছনে না ছুটে কর্মস্থান করে নিয়েছেন। দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। শুরুতেই ১০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে কুল ও পেয়ারার আবাদ শুরু করেন। কুলের ভাল ফলন ও সঠিক মূল্য পেয়ে কৃষিকর্মের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। 

তারা জানান, এখন আর চাকুরি করার ইচ্ছা নেই। আমাদের বাগানেই ১০ জন লোক চাকুরি করছেন। গিলন্ড এলাকার সানি কৃষি খামার এন্ড নার্সারি এর স্বত্বাধিকারী সানি রহমান মিন্টু বলেন, সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেও চাকুরির ব্যবস্থা হয়নি। অবশেষে কয়েক বন্ধু মিলে কৃষি কাজে নেমে পড়েছি। ১০ একর জমি লিজ নিয়ে কুল এবং পেয়ারার আবাদ করেছি। বাগান থেকেই কুল বিক্রি শুরু হয়েছে। ভাল দামও পাচ্ছি। কুল বিক্রি শেষ হলে সাথী ফসল হিসেবে শশা, বাঙ্গী, লাল শাকসহ অন্যান্য ফসল রোপন করা হবে। 

অর্থনীতি বিষয়ে মাস্টার্স করা মোঃ ফরহাদ জানান, আগে একটি সরকারি চাকুরির লোভ ছিল। এখন কোন ধরনের চাকুরির ইচ্ছা নেই। মনে হচ্ছে এখান থেকেই আমাদের উজ্জল ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে। আমাদের বাগানে বলসুন্দরী, কাশ্মিরী, টকমিষ্টি, বাউকুলসহ বিভিন্ন জাতের কুল রয়েছে। 
তিনি আরও বলেন, এগুলোর চারা আনা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা থেকে। এখন থেকে আমরাই কলম করে চারা সারা জেলায় ছড়িয়ে দিতে পারবো। এবার আরোও বেশি করে  জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদের পরিধি বাড়ানো হবে। আগে যারা আমাদের পাগল বলতো সফলতা দেখে তারা এখন প্রতিদিন বাগানে এসে উৎসাহ দিচ্ছেন। আমাদের দেখে অনেকের মধ্যেই আগ্রহ দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগের লোকজন সবসময় খোঁজখবর নিচ্ছেন। ফোন দিলে বাগানে চলে আসেন। 

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর কুল ও পেয়ারার আবাদ বাড়ছে। এ বছর জেলায় ৮১ হেক্টর জমিতে কুল ও ২৩২ হেক্টর জমিতে পেয়ারার আবাদ হয়েছে।