ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

প্রকৃতির কোল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে আলোকলতা

মাদারীপুর প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, জানুয়ারী ১৬, ২০২২

প্রকৃতির কোল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে আলোকলতা
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রতিটি ঋতুই ভিন্ন রূপবৈচিত্র্য নিয়ে হাজির হয় প্রকৃতিতে। বাংলাদেশের প্রকৃতিতে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে যে কয়েকটি লতা, তাদের অন্যতম হচ্ছে স্বর্ণলতা বা আলোকলতা। শ্যামল বাংলার পথে প্রান্তরে আপন রূপের মহিমা ছড়ায় এই উদ্ভিদ তার নিজের মত করে।

দেশের সব জায়গায় দেখা যায় স্বর্ণলতা। গ্রামে বসবাসকারী বা গ্রামে যাতায়াত আছে এমন সব বয়সী মানুষ এই উদ্ভিদকে চেনেন। পরজীবী এই উদ্ভিদ বেশিরভাগ দেখা যায় বড়ই গাছের কাণ্ডে। এর সবুজাভ উজ্জ্বল রঙ বহুদূর থেকে নজর কেড়ে নেয়। এই লতিকার বেড়ে ওঠা ভরা মৌসুম মুলত পৌষ থেকে চৈত্র মাস। তবে এই সময়ের আগে ও পরেও এই উদ্ভিদ জন্মে। ভরা মৌসুমের বাইরেও বেঁচে থাকে স্বর্ণলতা।

পৌষের শিশিরভেজা মৃদু বাতাসে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার হলুদ রঙের গালিচায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে আলোকলতা। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে শিবচর উপজেলার দাদাভাই উপশহর সড়কের পাশে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ঝুরি ঝুরি হলদে সুতা ঝুলে আছে। এর ওপর রোদ পড়লে চকচক করে। শীতের পাতাঝরা প্রকৃতিতে মোহনীয় সৌন্দর্য ছড়ায় আলোকলতা। গ্রামে এখন খুব কমই দেখা যায় এ আলোকলতা।

সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত ও আলভী বলেন, আলোকলতা একটি পরজীবী উদ্ভিদ। গাছেই এর জন্ম, গাছেই বেড়ে ওঠা, বংশবিস্তার। কোনো পাতা নেই, লতাই এর দেহ-কান্ড-মূল সব। সোনালি রঙের চিকন লতার মতো বলে এরূপ নামকরণ।

শিবচর উপজেলা কৃষি অফিসার অনুপম রায় যায়যায়দিনকে বলেন, জীবন্ত গাছে জন্ম নিয়ে পরগাছ অবলম্বন করে টিকে থাকে। যে গাছে জন্মায় সে গাছের ডাল ও কান্ড থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে। প্রাকৃতিকভাবে বংশবিস্তার করে। পৌষ ও চৈত্রে এ লতা বেড়ে ওঠে এবং জালের মতো বিস্তার ঘটায়। এখন আলোকলতার ভরা মৌসুম।