চাঁদাবাজির অভিযোগে সন্ত্রাসী জিসান গ্রুপের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার রাজধানীর বাড্ডা ও বান্দরবান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— মো. নাসির, ওমর খৈয়াম, জীবন হোসেন, ফারহান মাসুদ, নাঈম, কাওছার আহমেদ ইমন ও মো. আসলাম।
এদের মধ্যে আসলাম অস্ত্র মামলায় ৯ বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন। অন্যদের নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
ডিবি জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা দুবাইয়ে অবস্থানরত সন্ত্রাসী জিসান ও তার সহযোগী চক্রের সদস্য।
সোমবার গুলশান গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপকমিশনার মশিউর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, রোববার রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় এবং বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজি চক্রের সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার, ১৩টি গুলি, ৬ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।
মশিউর রহমান আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা সবাই দুবাইয়ে অবস্থানরত সন্ত্রাসী জিসান ও তার ভাই শামীমের শিষ্য এবং কাশিমপুর কারাগারে আটক সন্ত্রাসী মামুন ও মুন্নার সহযোগী। সন্ত্রাসী জিসান কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ফাঁসির আসামি মামুন ও আরও একজনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করতেন।
গুলশান গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদকালে আসামিরা নিজেদের দুবাই প্রবাসী চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের ক্যাডার বলে স্বীকার করেন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দুবাই প্রবাসী চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
দক্ষিণ বাড্ডায় ২০০৬ সালের চার খুনের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এবং বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে অবস্থানরত মামুনের সঙ্গেও তাদের সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া অস্ত্র মামলায় কাশিমপুর কারাগারে থাকা আসামি মুন্নাও গ্রেফতার আসামিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতেন এবং নির্দেশনা দিতেন।
দুবাই থেকেই জিসান কাশিমপুর কারাগারে থাকা আসামি মামুনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেন বলে ডিবি পুলিশ জানিয়েছে।