ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

কাটাখালী পৌরসভা: আব্বাসের কার্যালয় থেকে ২১টি দেশি অস্ত্র উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: রবিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১

কাটাখালী পৌরসভা: আব্বাসের কার্যালয় থেকে ২১টি দেশি অস্ত্র উদ্ধার
রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার বরখাস্ত হওয়া মেয়র আব্বাস আলীর ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ শনিবার বিকালে আড়াই ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে ২১টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ-আব্বাসের ক্যাডার বাহিনীর হাতে এখনো অনেক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। পুলিশ সেগুলো উদ্ধারে ভূমিকা নিচ্ছে না। তারা জানান, আব্বাস গ্রেফতার হলেও তার ক্যাডাররা এলাকায় চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছে।

জানা যায়, আরএমপির কাটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ শনিবার বিকাল ৩টার দিকে কাটাখালী মাসকাটা দিঘি হাইস্কুল ভবন সংলগ্ন আব্বাসের চারটি কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে রামদা, চাইনিজ কুড়াল, ড্যাগার, কিরিচ ও তলোয়ার। পুলিশ উদ্ধার এসব অস্ত্রের তালিকা করে থানায় নিয়ে যায়। ওসি জানান, এসব দেশীয় অস্ত্র রাখা বেআইনি। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হবে।

এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগে আরও জানা যায়, আব্বাস তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হলেও তাকে রিভলভার কেনার লাইসেন্স দেওয়া হয়। লাইসেন্সকৃত এ অস্ত্রটি এখন কোথায় কী অবস্থায় রয়েছে, এর কোনো খোঁজ করেনি পুলিশ। সেই সঙ্গে আব্বাসের ৩৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনীর অনেকের কাছেই অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। আব্বাসের ক্যাডাররা এসব আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে বিভিন্ন সময়, যা এলাকার মানুষ দেখেছেন। কিন্তু পুলিশ ক্যাডার বাহিনীর কাউকেই গ্রেফতার করেনি। এ কারণে উদ্ধার হয়নি কোনো অবৈধ অস্ত্র। ওসি আরও বলেন, আব্বাস ২৪ নভেম্বর গা ঢাকা দিলে তার ক্যাডাররাও এলাকা ছাড়ে। সন্ত্রাসী বাহিনীর কেউ এলাকায় ফিরেছে-এমন তথ্য পুলিশের কাছে নেই।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণকে কেন্দ্র করে ২৩ নভেম্বর আব্বাসের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাতে আব্বাসকে বলতে শোনা যায়, জীবন গেলেও তিনি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ করতে দেবেন না। বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও আব্বাস কটূক্তি করেন। এ ঘটনায় কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ২৫ নভেম্বর নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও রাসিকের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন বোয়ালিয়া মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। ২ ডিসেম্বর র‌্যাব রাজধানীর একটি হোটেল থেকে আব্বাসকে গ্রেফতার করে বোয়ালিয়া থানায় সোপর্দ করেন। তিন দিনের রিমান্ড শেষে আব্বাস রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। এরই মধ্যে ১০ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আব্বাসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। তার শাস্তির দাবিতে কাটাখালীতে টানা ১০ দিন বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এলাকাবাসী।