ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

মুরাদের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে করা মামলার আবেদন খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০২১

মুরাদের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে করা মামলার আবেদন খারিজ
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলা খারিজ করেছে ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।

আজ সোমবার ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন আদালত মামলা গ্রহণ করার মতো ‘উপাদান না থাকায়’ খারিজের আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া খারিজের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, রোববার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা ওমর ফারুক ফারুকী ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন জমা দেন। তবে বিচারক না থাকায় শুনানি হয়নি। সোমবার শুনানির জন্য রাখা হয়।

এদিন সকালে মামলার আবেদনের বিষয়ে শুনানি হয়। বাদীপক্ষে শুনানি করেন মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান। এরপর বিকেলে আদালত মামলাটি খারিজের আদেশ দেন।

মামলার আবেদনে বলা হয়, তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমান লিংকন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ব্যারিস্টার-এট-ল’ ডিগ্রি লাভ করেছেন। বর্তমানে সে যুক্তরাজ্যে আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। জাইমা রহমানের দাদা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দাদী তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

মামলায় বলা হয়, ডা. মুরাদ হাসান বর্তমান সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন এবং নাহিদ একজন মিডিয়া উপস্থাপক। গত ১ ডিসেম্বর আসামি নাহিদ আসামি ডা. মুরাদ হাসানের স্বাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। যা পরবর্তীতে আসামি ডা. মুরাদ হাসান তার ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে প্রচার ও প্রকাশ করেন। উক্ত সাক্ষাৎকারে ডা. মুরাদ হাসান উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার এবং ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যাচার, নারী বিদ্বেষী, মানহানিকর অশ্লীল মন্তব্য করেন।

আসামিদের এমন কর্মকাণ্ড ফেসবুকের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। যা সর্বমহলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে আসামি ডা. মুরাদের মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং জানাচ্ছে। আসামিদের এ কর্মকাণ্ড জিয়া পরিবার ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানসহ সমগ্র নারী সমাজের জন্য মানহানিকর ও অপমানজনক। উক্ত মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে। তাই এ অপরাধ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারায় শাস্তিযোগ্য হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগটি আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা প্রয়োজন।