ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

একপাশে ছাত্রলীগ অন্যপাশে আন্দোলনকারীরা, ঢাবিতে উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার | আপডেট: বৃহস্পতিবার, জুলাই ১১, ২০২৪

একপাশে ছাত্রলীগ অন্যপাশে আন্দোলনকারীরা, ঢাবিতে উত্তেজনা
পূর্ব ঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সমানে জড়ো হচ্ছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা। এর কাছেই মধুর ক্যান্টিনের সামনে সমবেত হচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। 

বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে এমন পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। উভয় পক্ষই বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

আজ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে আবারও অবরোধের কর্মসূচি রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সমবেত হতে কিছুটা সময় নিচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে সেখানে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এরইমধ্যে কয়েক শ শিক্ষার্থী সমবেত হয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের উদ্দেশে যাত্রা করার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে।

অপর দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দলে দলে এসে মধুর ক্যান্টিনের সামনে জড়ো হচ্ছেন। সেখানেও কয়েক শ ছাত্রলীগের সমাবেশ দেখা গেছে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কী করবেন, সে বিষয়ে এখনো কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

এদিকে আন্দোলনকারীরা কয়েক দিন ধরে যে শাহবাগ মোড়ে এসে সড়ক অবরোধ শুরু করছেন, সেখানে আজকে অন্য দিনের তুলনায় বেশি সংখ্যক পুলিশের সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ। শাহবাগ মোড়ে সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নিয়েছে তারা।

মোড়ের চারপাশে ছোট ছোট দলে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। থানা পুলিশের পাশাপাশি রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য এনে এখানে মোতায়েন করা হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে গত রোববার থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা। প্রথম দুই দিন রোব ও সোমবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। 

মঙ্গলবার গণসংযোগ কর্মসূচি পালনের পর গতকাল বুধবার আবার সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন। তাদের এই কর্মসূচিতে সারা দেশ থেকে রাজধানী অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সারা দিনের অবরোধে সড়কে যানবাহন আটকে থাকায় দিনভর চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় রাজধানীবাসীকে।