এআই পাওয়ারড গভর্নমেন্ট ব্রেইন তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সকালে আগারগাঁওয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উদ্যোগে আয়োজিত বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের চাকরি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জি-ক্লাউড এর মতো এআই পাওয়ার নামে গভর্নমেন্ট ব্রেইনের সাহায্যে প্রাতিষ্ঠানিক মেমরি তৈরি করা হবে যা হবে গর্ভনমেন্ট জিপিটি।
প্রতিবন্ধীরা অন্যদের চেয়ে বেশি পরিশ্রমী উল্লেখ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সুস্থ্য স্বাভাবিক তরুণ-তরুণীদের চেয়ে প্রতিবন্ধীরা বেশি মনোযোগ দিয়ে দায়িত্বশীলতার সাথে কর্মক্ষেত্রে সেবা প্রদান করছে। তিনি বলেন প্রতিবন্ধীরা আমাদের ভাই-বোন। তাদেরকে সুযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন প্রতিবন্ধীরা তাদের শ্রম, মেধা ও দায়িত্বশীলতা দিয়ে অন্যান্যেদের চেয়ে বেশি এগিয়ে থাকবে।
রাজধানীর আগারগাওয়ে আয়োজিত এই চাকুরী মেলায় সারাদেশ থেকে কয়েকশ বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি সরাসরি সিভি দিয়ে চাকরীর জন্য ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পাচেছ। দেশের বিভিন্ন খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে যোগ্যতা অনুযায়ী শর্টলিস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করছে পরবর্তী কার্যক্রম।
এই মেলায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এর সদস্যভুক্ত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই০’র স্টল দেখা গেছে।
এদিকে বিভিন্ন স্টলে চাকরীর প্রত্যাশায় বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সিভি নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে। জানাচ্ছেন নিজের যোগ্যতা, রয়েছে হতাশার চাপও।
চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে ২০১৫ সাল থেকে চাকরি মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চাকরি মেলার মাধ্যমে প্রায় ১৬০০ জন আইসিটিতে দক্ষ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কম্পিউটারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও দক্ষ চাকরি প্রত্যাশীরা এ মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। এবার মেলার মাধ্যমে প্রায় ৫০ জনকে চাকরি দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও, ২ শতাধিক চাকরিপ্রার্থীকে পরবর্তীতে নিয়োগের লক্ষ্যে সাক্ষাতকারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে যাদের পর্যায়ক্রমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক সাইদুর রহমান, তথ্য ও যেগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন এবং সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজঅ্যাবিলিটির নির্বাহী পরিচালক খন্দকার জহুরুল আলম সহ খাত সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।