ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

জেলখানায় বসেই ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের প্লান অতপর

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: মঙ্গলবার, আগস্ট ১০, ২০২১

জেলখানায় বসেই ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের প্লান অতপর

গত ২১ মার্চ রবিবার দুপুরে শেরপুর-জামালপুর ব্রহ্মপুত্র সেতুর ইজারাদারদের অংশীদার ব্যবসায়ী নূর হোসেন ও তার ভাতিজা মোটরসাইকেল চালক লিটনকে নিয়ে ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্য আসছিলেন। মোটরসাইকেলে শেরপুরে আসার পথে শহরের মধ্যশেরী এলাকায় ৫ সদস্যের একটি ছিনতাইকারী দল ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে টাকার ব্যাগ ছিনতাই করে। এ ঘটনায় ওই দিনই নূর হোসেন বাদী হয়ে থানায় শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ডিবি পুলিশের হাতে মোটরসাইকেল চালক লিটনসহ সন্দেহভাজন ৩ জন গ্রেফতার হলেও উদঘাটন হয়নি কোন রহস্য। বিষয়টি শেরপুর জুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। 

পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত করে পরবর্তীতে মামলাটি শেরপুর-জামালপুরের দায়িত্বে থাকা পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর। পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) জানায় প্রযুক্তির সহয়তায় এ মাসের ৮ তারিখে তুষারকে  তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান ময়মনসিংহের গাঙ্গিনাপাড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তদন্ত কর্মকর্তা জানান ঘটনার আগে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে অন্তত তিনজন জেল খানায় ছিলেন। জেলের মধ্যে বসে তারা ডাকাতির সিদ্ধান্ত নেয়। জামিন পেয়ে পরপর তিনজন বের হয়ে আসলে তারা এই পরিকল্পনায় আরও তিনজনকে যুক্ত করে। এই ছয়জনের মধ্যে অন্তত তিনজন চাকুরিচ্যুত সাবেক বিডিআর সদস্য। এই ছয়জন মিলে এই মামলার বাদীর পাশে ঘনিষ্ঠ এক জনের সাথে যোগাযোগ করে। যিনি এই টাকা পয়সা শেরপুর ব্যাংকে আদান প্রদানের খবর জানতেন।এই খবর দাতার কাছ থেকেই ঘটনার দিনক্ষণ জেনে  ফিল্মি ষ্টাইলে এই দুর্ধর্ষ ঘটনা ঘটানো হয়। ঘটনার সময় দুটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকার ব্যবহার করা হয়। ঘটনার সাথে শেরপুর সদর উপজেলার অন্তত তিনজন জড়িত থাকার কথা জানা গেছে।

এই অঞ্চলের পিবিআইয়ের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপার এম এম  সালাহ উদ্দীন বলেছেন, ওই চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হলো। জবানবন্দি অনুযায়ী, ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।