ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

দেড় মাস পর সচল রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, অক্টোবর ২৩, ২০২৩

দেড় মাস পর সচল রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু
দেড় মাস পর সচল হয়েছে রাঙামাটির মনোরম ঝুলন্ত সেতু। সংস্কারের পর ২০ অক্টোবর থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেতু দিয়ে হাঁটাচলা স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। 

বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় দীর্ঘ দেড় মাস ডুবে থাকে সেতুটি। বৃষ্টিপাত বন্ধ হওয়ায় হ্রদের পানি কমতে থাকায় ভেসে ওঠে। বর্তমানে পাটাতনের নিচুতে চলে গেছে পানি। সরেজমিন পরিদর্শনে এ তথ্যচিত্র চোখে পড়ে। 

পর্যটন করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, এর আগে সেতুটি পানির নিচে তলিয়ে থাকায় রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা মনোক্ষুণ্ণ হয়ে ফিরে যেতেন। এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। সেতুটি সচল হওয়ায় বর্তমানে পর্যটকদের পাশাপাশি স্বস্তি ফিরেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মনে। 

রাঙামাটি ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. রমজান আলী বলেন, যারা রাঙামাটি বেড়াতে আসেন তাদের মূল আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতুটি। সেতুটি ডুবে যাওয়ার পর একদম পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছিল রাঙামাটি। আশা করছি আবারো পর্যটক আসবেন রাঙামাটিতে। আমরাও দীর্ঘ ৪৫ দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব। 

রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সেতুটি তলিয়ে যায়। এতে সেতু দিয়ে হাঁটাচলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সেতুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় এখন সেতুটি ভেসে উঠেছে। কিছু সংস্কার কাজ করা হয়েছে। সেতু দিয়ে পর্যটক চলাচলে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা ১৯ অক্টোবর প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেতুটি ডুবে থাকায় রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের অন্তত ১০/১২ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আশা করছি পর্যটক আসলে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে।

১৯৮৬ সালে রাঙামাটি জেলা শহরের তবলছড়ি এলাকায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের মনোরম ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ করে। দুই পাহাড়ের মাঝখানে দুটি পিলারের ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন এই সেতুটি পর্যটন শহর রাঙামাটির নিদর্শন হিসেবে দেশে-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে।