ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

মেঘনা আর্ট রেসিডেন্সি ২০২৩

মানুষের যোগাযোগের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম চিত্রকলা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: রবিবার, অক্টোবর ১৫, ২০২৩

মানুষের যোগাযোগের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম চিত্রকলা
প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত মানুষের যোগাযোগের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়েছে চিত্রকলা। তাই সুদীর্ঘকাল ধরেই শিল্পকলার সবচাইতে শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে দেখা হয় চিত্রকলাকে । 

যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে গত ১০০ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে তৈরি হয়েছে নানা চারুকলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আর্ট রেসিডেন্সির মাধ্যমে শিল্পকলার চিত্রকলাকে ছড়িয়ে দেওয়া হয় প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাতে করে ওই স্থানের মানুষেরা সহজে শিল্পের সাথে নিজেদের জীবন জীবিকাকে অনুধাবন করতে পারে। শিল্পীরাই পারে একটি জাতি গোষ্ঠীকে সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে সারা বিশ্বের কাছে নিজেকে সমুজ্জলভাবে উপস্থাপন করতে।

এর ধারাবাহিকতায় সংসদ সদস্য জনাব সেলিনা ইসলাম এম.পি ( সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়) সদয় ইচ্ছা ও আগ্রহে 'আমেনা মুজিব পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র' এবং 'লাল শিল্পী গোষ্ঠী' আয়োজনে দুইদিনব্যাপী মেঘনা আর্ট রেসিডেন্সি নামক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড শুরু করেছে। 

এই সংস্কৃতি কর্মকান্ড মধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মেধাবী শিল্পী, আলো আর্ট স্কুল, লাল শিল্পগোষ্ঠীর শিল্পীরা তুলির আঁচড়ে মেঘনা নদীর জীবনযাপন ও নান্দনিকতাকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তুলবে। শিল্পীদের এই শিল্পকর্মগুলো এই অঞ্চলের মানুষের জীবন জীবিকা সহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও স্থানীয় উন্নয়ন এর প্রকৃত চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করবেন চিত্রশিল্পীরা। 



শিল্পীদের এই শিল্পকর্মগুলোকে নিয়ে একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী আয়োজন করা হবে আমেনা মুজিব পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে। এই ছবিগুলো উপজেলার প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় তরুণ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই প্রদর্শনী ভ্রমণ করবে। এই প্রদর্শনের ফলে মেঘনা উপকূলে জনগোষ্ঠীর মাঝে শিল্পবোধ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করি।

একটি জাতিকে গড়ে তুলতে হলে জাতির শিল্পসত্তাকে গড়ে তোলা খুব জরুরী । তাই সংগঠক ও আয়োজকরা মনে করেন শিল্পীরা শিল্পীদের চিত্রকর্ম দিয়ে মেঘনা উপজেলার তরুণ তরুণী, শিক্ষার্থী, শিক্ষকদের মধ্যে রুচিশীল শিল্পের আলোড়ন ঘটবে । একটি সুন্দর সাবলীল কর্মক্ষম সমাজ গঠনের জন্য তৈরি করতে হবে রুচিশীল মানুষ আর রুচিশীল মানুষেরাই তৈরি করবে নান্দনিক বাংলাদেশ। এরই লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যে আমাদের মেঘনা উপজেলাকে রুচিশীল মানুষের সৃষ্টি করা ও এ মানুষের দ্বারা নান্দনিক মেঘনা উপজেলা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তৈরি হবে স্মার্ট মেঘনা। 

আয়োজকরা মনে করেন আর্টিস্ট রেসিডেন্সির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশ থেকে শিল্পীরা স্বল্প এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য মেঘনা উপজেলাতে আসবেন থাকবেন মিশবেন সাধারণ মানুষের সাথে। সংস্কৃতির আদান প্রদান ঘটবে বিদেশী ও দেশী মানুষদের মধ্যে, এর ফলে মেঘনা হয়ে উঠবে একটি স্মার্ট ও গ্লোবাল ভিলেজে যেখানে মানুষ সকল তথ্য কিছু সহজে উপলব্ধি অনুধাবন করতে পারবে।

আর্টিস্ট রেসিডেন্সির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন শ্রদ্ধেয় হাফেজ আহমেদ সোহেল, কোঅর্ডিনেটর হিসেবে ছিলেন বশিরুল্লাহ মজুমদার আলো,  কিউরেটর হিসেবে ছিলেন মোঃ ইমরান হোসেন। আর্টিস্ট রেসিডেন্সি আয়োজন করার জন্য ঢাকা থেকে আগত শিল্পীদের সকলেই উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে রং তুলি দিয়ে তাদের ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলছেন মেঘনা নদীর উপকূলের বিভিন্ন দৃশ্যপট।