ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

পাহাড়ি ঢলে তিস্তার চরাঞ্চল প্লাবিত

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, অক্টোবর ৬, ২০২৩

পাহাড়ি ঢলে তিস্তার চরাঞ্চল প্লাবিত
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বৃষ্টিতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর পানি ৭০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ফলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত হরিপুর, বেলকা, কাপাসিয়া, শ্রীপুর, তারাপুর, কাপাসিয়া ও চন্ডিপুর ৭ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের নিচু এলাকার অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

গাইবান্ধার স্থানীয় প্রশাসন বুধবার বিকাল থেকে তিস্তা যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যা সতর্কীকরণের জন্য মাইকিং করেন। সম্ভাব্য বন্যায় যাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য মাইকিং করে চরাঞ্চল ও তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে ও নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়।

তিস্তা নদীর বুকে জেগে ওঠা কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনজু মিয়া বলেন, বুধবার বিকাল থেকে আতংকিত লোকজন ঘরবাড়ি ছাড়তে শুরু করে। অনেকেই তাদের গবাদিপশু হাঁসমুরগি নিয়ে নৌকায় আশ্রয় নেয়। অনেকেই স্বজনদের বাড়ি চলে যায়, আবার কেউ বাড়িতে চৌকি উঁচু করে ঘরের মধ্যেই আশ্রয় নেয়।

বুধবার রাত থেকে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে তিস্তা নদীতে। এক রাতে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ৯০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বিপৎসীমা পার হয়ে ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। দুপুরের দিকে পানি কমতে থাকে। বিকালে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা জুয়েল মিয়া জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় মাইকিংয়ের পাশাপাশি গাইবান্ধা সদর উপজেলার জন্য শুকনো খাবারসহ বন্যার্তদের রেসকিউ করার জন্য দুটি নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে দুটি স্থানকে প্রস্তুত রাখা হয়।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, দুর্যোগ প্রস্তুতি হিসেবে উপজেলা প্রশাসন ২৭টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে। শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট, নলকূপের পাইপ, শুকনো খাবার ও চাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে বন্যা মোকাবেলায়।