ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

অন্যের চাল খাচ্ছেন নারী ইউপি সদস্য!

দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৫, ২০২৩

অন্যের চাল খাচ্ছেন নারী ইউপি সদস্য!
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে অন্য নারীর নামে উপকারভোগী কার্ড করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির চাল উত্তোলন করে খাচ্ছেন এক নারী ইউপি সদস্য।

উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য লিপি বেগমের বিরুদ্ধে এ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী। 

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিনমজুর মামুন মোল্যা ১০ টাকা মূল্যের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির একজন উপকারভোগী। গত বছরের অক্টোবর মাসে হঠাৎ করে তার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডটি বাতিল হয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার স্ত্রী রাবেয়া বেগমের নামে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির একটি উপকারভোগী কার্ড হয়েছে। যে কারণে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডটি বাতিল করা হয়েছে।

কিন্তু ভিডব্লিউবি কর্মসূচির কার্ড হলেও, চাল না পাওয়ায় পুনরায় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে খোঁজ নেন মামুন মোল্যা। জানতে পারেন ৫নং ওয়ার্ডের মাস্টার রোলের ৭৭ নম্বর ক্রমিকে তার স্ত্রীর নাম রয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত উত্তোলন করেছেন। প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে দেওয়া এ চাল ইউপি সদস্য লিপি বেগম নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। 

ভুক্তভোগী রাবেয়া বেগম (৫০) বলেন, আমার ভিডব্লিউবি কর্মসূচির চালের তালিকায় নাম আছে, তা আমি জানতাম না। কিছুদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার নামে কার্ড আছে। আমি ইউনিয়ন পরিষদে চাল আনতে যাই। সেখান থেকে আমাকে বলে আপনার নামের চাল মহিলা মেম্বার নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আমার স্বামী ইউএনও স্যারের কাছে একটি অভিযোগ করেছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য লিপি বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি রাবেয়া বেগমের নামের কার্ডের চাল উত্তোলন করেছি। তবে নিজের টিপসই দিয়ে নয়, অন্য কার্ডধারীদের দিয়ে চাল উত্তোলন করেছি। আমার এক ভাই কয়েক বছর আগে পানিতে ডুবে মারা গেছে। তার একটা মেয়ে রয়েছে। তাকে ওই চাল খাওয়াই।

এ বিষয়ে রাজপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিলটন মিয়া বলেন, আট মাসে কেউ আমাকে বলিনি। এখন শুনলাম, ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি এলাকায় এসে সমাধান করে দেব। ঘটনা সত্য হলে ৮ মাসের চাল ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। 

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।