ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে আবেদন জানালেন সেই সোনিয়া

প্রবাস ডেস্ক | আপডেট: শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে আবেদন জানালেন সেই সোনিয়া
বাংলাদেশি নাগরিক সোনিয়া আক্তার। ভারতীয় স্বামী সৌরভকান্ত তিওয়ারির সঙ্গে তার সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন সোনিয়া আক্তার নয়ডার বাসিন্দা তিওয়ারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানান। 

দ্য ফ্রি প্রেস জার্নালে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। খবরে জানানো হয়, বাংলাদেশের নাগরিক সোনিয়া আক্তারকে ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল বিয়ে করেছিলেন সৌরভকান্ত তিওয়ারিকে।

সোনিয়া আক্তারের অভিযোগ, তিওয়ারি বাংলাদেশে ‘স্ত্রী ও সন্তান ফেলে’ ভারতে চলে গেছেন। এজন্য স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে সোনিয়া আক্তার সম্প্রতি ভারতে গিয়ে সেদেশের পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিওয়ারি সোনিয়াকে বিয়ে করতে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।

তবে সোনিয়াকে নিজের স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিওয়ারি। উত্তর প্রদেশের পুলিশ সোনিয়া আক্তারের অভিযোগ নিয়ে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। তারা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, ভারতে ওই তিওয়ারির স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। 

সোনিয়া আক্তার তার এক বছরের ছেলের সঙ্গে বর্তমানে নয়ডায় থাকছেন। তিনি সহায়তা চাইতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছান।

সোনিয়া আক্তার বিচার পেতে এপি সিং নামের এক আইনজীবীকে নিযুক্ত করেছেন। ওই আইনজীবী এরই মধ্যে পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সীমা হায়দারের মামলায় লড়ে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন।

এ বছরের প্রথম দিকে পাবজি খেলতে গিয়ে এক ভারতীয়র সঙ্গে প্রেম হয় সীমার। এরপর তিনি নেপাল হয়ে অবৈধভাবে ভারতে আসেন তার প্রেমিক সচিন মিনাকে বিয়ে করতে। যদিও অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে ভারতের পুলিশ। এবার সেই এপি সিং লড়বেন সোনিয়া আক্তারের মামলাও।

সোনিয়া আক্তার তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, তিওয়ারি এখন রাজি হচ্ছেন না, তিনি আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন না। আমি একজন বাংলাদেশি, প্রায় তিন বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়েছিল। আমি শুধু আমার স্বামীর সঙ্গে আমাদের সন্তান নিয়ে থাকতে চাই।