বাবা-মায়ের যত্ন নেওয়া ছাড়াও নানা শর্তসাপেক্ষে ১৮ মামলার আসামি ২০ শিশুকে মুক্তি দিয়েছেন রাজশাহীর একটি আদালত। শর্তগুলোর মধ্যে বাবা-মায়ের যত্ন নেওয়া ও ধর্ম পালন ছাড়াও বেশকিছু শর্তে তাদের মুক্তি মিলেছে। শর্ত ভাঙলেই আবারো যেতে হবে কারাগারে। আদালতের এমন আদেশে খুশি মুক্তি পাওয়া শিশুদের পরিবারও।
প্রথমবারের মতো তারা অপরাধী হওয়ায় মঙ্গলবার রাজশাহীর নারী ও শিশু আদালত-২ এর বিচারক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বিকল্প পন্থায় এসব শিশুকে মুক্তি দেন।
শিশু অপরাধীদের সাধারণত পাঠানো হয় সংশোধনাগারে কিন্তু রাজশাহীতে তাদের শোধরাতে ব্যতিক্রমী আদেশ দিয়েছেন আদালত।
জানা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত রাজশাহীতে শিশু আইনে হওয়া মামলার মধ্যে মাদক সেবন, মারামারির মতো ঘটনায় ১৮টি মামলায় আসামি হয় ২০ জন শিশু। এসব শিশু বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হয়ে সংশোধনাগারে ছিল। মুক্তির পর এসব শিশু বাবা-মায়ের যত্ন নেওয়া ও ধর্ম পালনের মতো শর্তে নিজ বাড়িতে জেলা প্রবেশন কর্মকর্তার তদারকিতে থাকবেন। তবে শর্ত ভাঙলে বাতিল হবে এ প্রবেশন আদেশ।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে অভিযুক্ত শিশুরা উপস্থিত ছিল। বিকল্প পন্থায় সংশোধনের সুযোগ পেয়ে খুশি শিশুরাও।
এদিকে বিচারক রায়ে তার পর্যবেক্ষণে পরিবার, দেশ ও জাতির কল্যাণে শিশুদের আত্মনিয়োগে মনোযোগী হবার পরামর্শ দেন।
রাজশাহী জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, আদালতের দেওয়া শর্তগুলো তাদের মানতে হবে। এছাড়া তাদের ৬ মাস দেখভাল করা হবে। তারা যদি আদালতের নির্দেশনা না মেনে চলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নাসরিন আখতার মিতা এবং বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এসএম হাসিবুল আলম।
রাজশাহী ব্যুরো |
আপডেট:
বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩ 
