ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

সাক্ষরতা দিবসে ইবি লেখক ফোরামের সাক্ষরতা অভিযান

মংক্যচিং মারমা, ইবি ক্যাম্পাস প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩

সাক্ষরতা দিবসে ইবি লেখক ফোরামের সাক্ষরতা অভিযান
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে পোস্টারিং কার্যক্রম ও ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে 'সাক্ষরতা অভিযান ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কর্মসূচি' পালন করেছে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা। 'পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার' এই প্রতিপাদ্যকে বাস্তবায়ন এবং বাঙালি জাতিকে নিরক্ষর মুক্ত করতে জনসচেতনতার জন্য পোস্টারিং কার্যক্রম ও সমাজে অবহেলিত এবং স্বাভাবিক শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়া শিশুদের অক্ষর জ্ঞান প্রদানের জন্য এই কর্মসূচিটির আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার(৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু তালহা আকাশ এর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া কোর্টস্টেশন এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় সকাল সাড়ে ১০ টায় এই কর্মসূচী শুরু হয়ে প্রায় দু'ঘন্টা ব্যাপী এই কর্মসূচিটি চলে। এসময় সেখানকার শিশুদের হাতে কলমে বর্ণমালা এবং সাক্ষর শিখানোর পাশাপাশি নিয়মিত বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষা লাভের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। এছাড়াও আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিশুদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দেওয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এ এইচ ওয়ালিউল্লাহ, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক সুকান্ত দাস। এছাড়াও ইবি শাখার সহ-সভাপতি শ্যামলী খাতুন সহ কার্যনির্বাহী পর্ষদের সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

এসময় বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু তালহা আকাশ বলেন, 'বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা লেখালেখির পাশাপাশি সমাজে অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করে আসছে। আমরা আমাদের এই কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ও নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তি দিতে লেখক ফোরাম পরিবার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে'।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা তরুণদের মাঝে লেখালেখির আগ্রহ জাগ্রত করে। এছাড়া বিভিন্ন সময় অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে। লেখালেখির পাশাপাশি সংগঠনটি সমাজ বিনির্মাণ ও সংস্কারে কাজ করে আসছে। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৮ টি শাখার মধ্যে পরপর ৪র্থ বারের 'বর্ষসেরা' শাখা নির্বাচিত হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।