ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

দলীয় কোন্দলে বিপর্যস্থ নাজিরপুর উপজেলা বিএনপি

শাফিউল মিল্লাত, পিরোজপুর প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩

দলীয় কোন্দলে বিপর্যস্থ নাজিরপুর উপজেলা বিএনপি
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা বিএনপি ও এর সাংগঠনিক কার্যক্রম দলীয় কোন্দলে বিপর্যস্থ।সম্প্রতি দলের উপজেলা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে    দলের ভীতর এ কোন্দল দেখা দিয়েছে। আর এ কোন্দলের জেরে একে অপরকে দায়ী করে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে বার বার লিখিত অভিযোগ করছেন নেতারা।
 
জানা গেছে, গত ১১ জানুয়ারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মিজানুর দুলালকে আহ্বায়ক  ও একই কমিটির সাধারন সম্পাদক  আবু হাসান খানকে সদস্য সচিব করে ৪০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। নতুন ওই কমিটির সদস্য সচিব আবু হাসান খান শাসক দলের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখায় তথ্য প্রযুক্তি মামলায় গত ৯ মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন। এর মধ্যে ওই কমিটি নিয়ে গ্রুপিং প্রকাশ্যে আসে। কমিটিতে কাঙ্খিত পদ না পেয়ে জৈষ্ঠ্য যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন দলের ভীতর এমন গ্রুপিং করছেন বলে দলীয় একাধীক সূত্র জানান।

দলের এক গ্রুপে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান দুলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম ফরাজী সহ কয়েক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য এবং অন্য গ্রুপে রয়েছেন জেষ্ঠ্য যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রেজাউল করিম লিটন সহ কয়েক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম শাফিক জানান, উপজেলা কমিটি গঠনের পর থেকে একটি গ্রুপ তাদের কাঙ্খিত পদ না পেয়ে দলের ভিতর গ্রুপিং সৃষ্টি করেছে। এতে দলীয় কর্মকান্ড সহ নেতা-কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান দুলাল দলের সকল নেতা-কর্মীদের প্রতি খুব আন্তরিক হলেও একটি গ্রুপ তার কাছ থেকে বিভিন্ন সহযোগীতা নিয়েও তার বিরুদ্ধাচরন করেন।

সংগঠনের অন্য এক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আসাদুজ্জামান টিপু হাজরা সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক নেতারা জানান, উপজেলা কমিটির সাবেক এক শীর্ষ নেতার পরামর্শে কমিটির জেষ্ঠ্য যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, দলের অন্য যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম বাদল, সদস্য সর্দার সাফায়েত হোসেন শাহীন, সাইফুল ইসলাম লিটন, খায়রুল কবির সহ কয়েকজন দলের কোন কর্মকান্ডে অংশ নেন না। গত ২ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৩০ মে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে সহ কেন্দ্র ঘোষিত বিভিন্ন কর্মকান্ডে তারা দলের নেতা-কর্মীদের আসতে বাঁধা দেয়া সহ পুলিশের মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেন। এমন কি রেজাউল করিম লিটন শাসকদলের এক প্রভাবশালী নেতার কাছ থেকে বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন।

ওই সব নেতারা আরো বলেন, এর আগে রেজাউল করিম লিটনের বিরুদ্ধে সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনে বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে দলের জেষ্ঠ্য যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটনের সাথে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি প্রথমে কথা বললেও পরে দলের গ্রুপিংএর বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। আর অন্যরা তাদের বিরুদ্ধে দেয়া এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন।

দলের আহ্বায়ক মো. মিজানুর রহমান দুলাল বলেন, আমি সকলকে নিয়ে দল সুসংগঠিত করতে কাজ করলেও একটি চক্র কমিটি গঠনের পর থেকে নুতন কমিটিকে বিতর্কিত করতে ও দলীয় কর্মকান্ডে বাঁধা সৃস্টি করতে শাসক দলের সহায়তায় বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করছেন