ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

সিলেট পর্যটন কেন্দ্রে মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে

আবুল কাশেম রুমন, সিলেট প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩

সিলেট পর্যটন কেন্দ্রে মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে

ফাইল ছবি

সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো যেন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘায়িত হচ্ছে পর্যটকদের মৃত্যুর সারি। অনেকেই সাঁতার কাটতে গিয়ে চোরাবালিতে ডুবে মারা যাচ্ছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসে এ অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর দায় কেউ নিচ্ছে না। প্রশাসন সতর্কবার্তার সাইনবোর্ড টাঙিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করছে। গত কয়েক দিনে পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা একাধিক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার দুপুরে সিলেটের সাদাপাথর এলাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্রাহাম জয় নামের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়।

এর আগে ২৫ আগস্ট জাফলং থেকে রমিজ উদ্দিন নামে আরেক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন দুপুরে তিনি জাফলংয়ের ডাউকি নদীর জিরো পয়েন্টে গোসল করতে গিয়ে স্রোতের টানে তলিয়ে যান।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিল্লোল রায় গণমাধ্যমকে জানান, জয় সাদাপাথরে গোসল করতে নেমে পানির নিচে তলিয়ে যান। ৬ জুলাই জাফলংয়ের পিয়াইন নদীতে বাবার সঙ্গে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র মো. আল ওয়াজ আরশ। পরে ৮ জুলাই তার লাশ ভেসে ওঠে। এর আগে ১ জুলাই কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে আবদুস সালাম নামের এক তরুণ গোসলে নেমে নিখোঁজ হন। দুদিন পর তার লাশ পাওয়া যায়।

পর্যটকদের মৃত্যুর জন্য সংশ্লিষ্টরা পর্যটকদের সচেতনতার অভাবকে দায়ী করেছেন। অপরদিকে স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন পর্যটকরা।

সূত্র জানায়, সিলেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র জাফলং। গত দুই দশকে জাফলংয়ে বেড়াতে এসে মারা গেছেন অর্ধশতাধিক পর্যটক।

সিলেটে সীমান্তঘেঁষা ধলাই নদীর সাদাপাথর এলাকা প্রায় অর্ধযুগ ধরে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক পর্যটক সাদাপাথর এলাকায় ঘুরতে আসেন। পর্যটন এলাকা সাদাপাথরে গত ৫ বছরে ১২ জন ও বিছনাকান্দিতে চারজন পর্যটক মারা গেছন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্ষায় নদীর তীব স্রোত, চোরাবালি, নৌকাডুবিতে সাঁতার না জানার কারণে পর্যটকরা মারা যাচ্ছেন।

পর্যটন কেন্দ্রগুলোর পর্যটকদের নিরপত্তার দায়িত্বে থাকা পর্যটন পুলিশের ওসি রতন শেখ জানান, ছুটির সময়ে পর্যটকের এত ভিড় হয় যে ট্যুরিস্ট পুলিশের অল্প লোকবল দিয়ে তা সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সাইনবোর্ড টানানো আছে। মাইকিং করে সতর্ক করা হয়। অসেচতনতা ও নির্দেশনা না মানার কারণেই এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান বিছানাকান্দি পর্যটন কেন্দ্রের ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার পর্যটন কেন্দ্রে সতর্কতামূলক বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছিল। তবে বন্যার পানি সেগুলো ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। অনেক পানির নিচে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।