ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

যবিপ্রবির ডিন নিয়োগ স্থগিত করে হাইকোর্টের রুল জারি

যশোর ব্যুরো | আপডেট: বুধবার, আগস্ট ১৬, ২০২৩

যবিপ্রবির ডিন নিয়োগ স্থগিত করে হাইকোর্টের রুল জারি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন নিয়োগ স্থগিত করে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আইন লঙ্ঘন করে ডিন নিয়োগ করায় সংক্ষুব্ধ শিক্ষকরা রিট করলে উচ্চ আদালত এ রুল জারি করেন।

রিটের আদেশে আদালত ড. মাহফুজুর রহমানের ডিন নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তা বাতিলপূর্বক ড. শিরিন নিগারকে কেন ডিন নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হবে না- এর জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে রিট পিটিশন দাখিলের বিষয়টি ড. শিরিন নিগার এবং তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তফা গোলাম কিবরিয়া নিশ্চিত করেছেন।

যবিপ্রবি সূত্র জানায়, গত ২৩ জুলাই যবিপ্রবি ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন হিসেবে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ড. মো. মাহফুজুর রহমানকে নিয়োগ করে রেজিস্ট্রার দপ্তর চিঠি ইস্যু করে। কিন্তু বিধান অনুযায়ী, ডিন নিয়োগ পাওয়ার কথা পুষ্টি ও খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. শিরিন নিগারের। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ডিন নিয়োগ দেওয়ায় ড. শিরিন নিগার যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু কোনো জবাব না পেয়ে গত ৭ আগস্ট তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। দায়েরকৃত রুলে বিবাদী করা হয়েছে শিক্ষা সচিব, ইউজিসি চেয়ারম্যান, যবিপ্রবি উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও ড. মাহফুজুর রহমানকে। গত ১০ আগস্ট তার রিটের শুনানি হয়। 

ড. শিরিন নিগারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী মো. সাঈদ আহমেদ এবং আইনজীবী গোলাম মোস্তফা কিবরিয়া। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত রুল জারি করেন।

রুলে যবিপ্রবি ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন নিয়োগ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

শিরিন নিগার জানান, নিয়ম অনুযায়ী যবিপ্রবির ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন হিসেবে তার নিয়োগ পাওয়ার কথা কিন্তু নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অন্য বিভাগ থেকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এজন্য তিনি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। আদালত নিয়োগ স্থগিত করে রুল জারি করেছেন।

যবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন জানান, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন নিয়োগ নিয়ে উচ্চ আদালতে রিটের বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তবে আদালতের কোনো নির্দেশনা এখন পাননি। উচ্চ আদালতের রুলে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।