ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

মদনে অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

আব্দুল আওয়াল (মদন) নেত্রকোনা | আপডেট: বুধবার, জুন ১৪, ২০২৩

মদনে অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি: ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাজী করনী

নেত্রকোনার মদন উপজেলার নারীদের উচ্চ শিক্ষার একমাত্র বিদ্যাপীট জোবাইদা রহমান মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মতিউর রহমান ও মোঃ শাহ আলম। এ ছাড়াও কলেজের অর্থ নয়-ছয়সহ নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ পাওয়ার সত্যত্যা নিশ্চিত করে বুধবার (১৪ জুন) ময়মনসিংহ বিভাগের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ আজহারুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ‘জোবাইদা রহমান মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিদায়ী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। অচিরেই কলেজ পরিদর্শণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

লিখিত অভিযোগ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, জোবাইদা রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন অন্যত্রে চাকুরী নেওয়ার সুবাধে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারী পদত্যাগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে পদটি শূন্য হলে তাৎক্ষণিক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয় কর্তৃপক্ষ। নিময় রয়েছে, বেসরকারি স্কুল ও কলেজ জনবল এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর ১৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ পাবে ওই কলেজের জৈষ্ঠ সহকারী অধ্যাপক। কিন্তু নিয়ম ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে অদৃশ্য কারণে জৈষ্ঠতার দিক দিয়ে চতুর্থ স্থান অধিকারী বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ হাজী করনী (মানিক) কে ২৩ জানুয়ারী নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়ে কলেজের গভর্নিং বডির কয়েকজন সদস্য প্রতিবাদ জানালেও দীর্ঘদিনেও বিষয়টি সুরাহা করেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। অবশেষে গভর্নিং বডির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মতিউর রহমান ও মোঃ শাহ আলম ২০২৩ সালের ২৮ই মে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রথম স্থান অধিকারী ওই কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মুখলেছুর রহমান জানান, ‘ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ নেওয়ার জন্য আমি গভর্নিং বডির সভাপতি বরাবর আবেদন করেছিলাম। কিন্তু নীতিমালা লঙ্ঘন করে জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে চতুর্থ স্থান অধিকারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’ 

এ ব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাজী করনী জানান, ‘ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ 

জোবাইদা রহমান মহিলা ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ শাহ আলম মিয়া বলেন, ‘আমার যোগদানের আগে কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।