ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

নুরুর দোসর মামুন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৪, ২০২১

নুরুর দোসর মামুন কারাগারে

সংগঠনের নারী সদস্যকে কৌশলে এবং প্রতারণার মাধ্যমে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি গত বছরের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ওই ভুক্তভোগী ছাত্রীর মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

 

শুনানি শেষে ঢাকার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল--এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী মঙ্গলবার দুপুরে আদেশ দেন।

 

দিন আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন মামুন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আলী আকবার এর বিরোধিতা করেন।

 

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মামুনের জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

 

কারাগারে যাওয়ার আগে মামুন বলেন, এই মামলায় আমি নির্দোষ। আমাকে এই মামলায় পরিকল্পিতভাবে জড়ানো হয়েছে। এই বাদীর সঙ্গে মূলত কোতোয়ালি থানার মামলার ১নং আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

 

আমি দেশের মানুষের কাছে এবং আদালতের কাছে পূর্ণ তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি। এই মামলার মাস্টারমাইন্ড কোতোয়ালি থানার মামলার ১নং আসামি সোহাগও বাদী।

 

এই মামলায় গত ১৩ অক্টোবর পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত। এতে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুসহ অন্যদের অব্যাহতি দেয়া হয়।

 

গত অক্টোবর নুরের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ পায়নি মর্মে প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক ফরিদা পারভীন।

 

২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে জনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে - অভিযোগ এনে মামলা করেন।

 

এজাহারে ঘটনায় সহযোগিতাকারী হিসেবে নুরুর নাম উল্লেখ করা হয়।

 

একই অভিযোগে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন ওই তরুণী। মামলায় অপহরণের পর পারস্পরিক সহযোগিতায় - এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়।