ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

চাঁদা না দেওয়ায় মারধর, ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

রেদোয়ান হাসান, সাভার প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, মে ৮, ২০২৩

চাঁদা না দেওয়ায় মারধর, ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
ঢাকার সাভারে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এক গার্মেন্টস ব্যাবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না পেয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতা সেই ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্যদের পিটিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৬ মে) বিকেল পাঁচটার দিকে সাভারের আনন্দপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শনিবার (৬ মে) রাতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ওই ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম মাসুম দেওয়ান (২৫) তিনি সাভার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি। তার বাড়ি সাভারের নামাগেন্ডা এলাকায়। আর এ ঘটনায় অভিযোগ করেছেন বিসমিল্লাহ ওয়াশ কারখানার স্বত্বাধিকারী আনন্দপুর এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে ইউসুফ আলী চুন্নু (৪৫)।

রবিবার (৭ মে) মে সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন।

অভিযুক্তরা হলেন- সাভারের নামাগেন্ডা এলাকার হোসেন আলীর ছেলে ও সাভার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম দেওয়ান (২৫), একই এলাকার ইমান আলির ছেলে আলমগীর (৩০), চাপাইন এলাকার সোহেল রানা (৩৩), নামাগেন্ডা এলাকার হাবু মিয়ার ছেলে নাদিম দেওয়ান (২৪), উলাইল এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে টিপু (২৮), কাতলাপুর এলাকার বাবু (২৮), একই এলাকার পলাশ (৩০), মজিদপুর এলাকার পাভেল (৩৫), নামাগেন্ডা এলাকার হানিফের ছেলে সজীবসহ (২৪) অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- বিসমিল্লাহ ওয়াশ কারখানার স্বত্বাধিকারী আনন্দপুর এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে  ইউসুফ আলী চুন্নু (৪৫), তার ছেলে আবির হোসেন (২১), ছোট ভাই মো. নান্নু (৪০), স্ত্রী রত্না ও ভাতিজা বাহাদুর (২৭)।

অভিযোগপত্র সুত্রে জানা যায়, গত ১ মাস ধরে ভুক্তভোগীর কারখানায় গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল অভিযুক্তরা। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে ওই কারখানায় অনধিকার প্রবেশ করেন অভিযুক্তরা। এসময় পূর্বের মত ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভুকভোগীদের বেধরক মারধর করে ওই ব্যবসায়ীর ভাই মো. নান্নুর পকেটে থাকা ৮৫ হাজার ও প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ বাক্স থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ১০ লাখের বাকি টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে চলে যায়। পরবর্তীতে আহতদের উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এঘটনায় আহত মো. নান্নু নিজেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে বলেন, আমিও একসময় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের পদে ছিলাম ব্যবসায় জড়িত হবার পর রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছি। তবে এখনো আমি আওয়ামীলীগকেই ভোট দেই। কিন্তু আজকে কিছু নামধারী কুলাঙ্গার ছাত্রলীগ নেতা আমার ভাই ভাতিজাসহ আমাকে চাঁদার দাবীতে মারধর করেছে। আমরা আমাদের নিজস্ব জায়গায় দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা করে আসছি কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম ও তার সহযোগীরা আমাদেরকে চাঁদার জন্য বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছিলো এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল আমাদের উপর তার দলবল নিয়ে হামলা চালায়। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ পত্র দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।