ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

মুসলিম আইনে নারীদের অধিকার

কাইয়ুম সরকার,শিক্ষানবিশ আইনজীবী | আপডেট: মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৯, ২০২১

মুসলিম আইনে নারীদের অধিকার

ইসলামের পূর্ব যুগে নারীদের তেমন কোন অধিকার ছিল না।সেই যুগে আরব সমাজে পুরুষের প্রাধান্য ছিল বেশী। অর্থাৎ পুরুষ দ্বারাই পরিচালিত হত আরবের শাসন ব্যবস্থা। নারীদের তারা দাসী হিসেবে ব্যবহার করত। তখন সেই আরব সমাজ কে বলা হত আইয়্যামে জাহেলিয়া যুগ।

ইসলামের সূর্য উদয়ের পর নারীর অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ইসলামে শরিয়তের আইন অনুসারে  নারীদের সম্পত্তিতে অধিকার রয়েছে এবং  বিবাহের সময় নারীদের দেনমোহরের অধিকার রয়েছে। দেনমোহর সর্ব অবস্থায় স্ত্রীর কাছে স্বামীর ঋণ। দেনমোহর স্ত্রীকে অবশ্যই প্রধান করতে হবে। প্রচলিত ধারণা আছে যে স্ত্রীর কাছে মাফ চেয়ে নিলে দেনমোহর  দিতে হয় না । এধরণের ধারণা ভুল।স্ত্রী মাফ করে দিলেও  তাকে তার প্রাপ্য দেনমোহর দিতে হবে এবং তা স্বামীর উপর বাধ্যতামূলক। দেনমোহর সর্ব অবস্থায় স্বামীর ঋণ।স্বামী যদি দেনমোহর প্রদান না করে মারা যায় তাহলে স্বামীর পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।দেনমোহর বিবাহের আগেও পরে প্রদান ও নির্ধারণ করা যায়। এইটা পক্ষগণের ইচ্ছা।

মুসলিম আইনে বিবাহ হলো  একটি দেওয়ানী চুক্তি। নারীরা কিছু বিষয়ের ভিত্ত করে বিবাহের বিচ্ছেদ করতে পারেন। যেমন- স্বামী যদি দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হন।

তবে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে হলে স্বামী এবং স্ত্রী যে কেউ বিবাহ বিচ্ছেদ করতে চান না কেন অবশ্যই আমাদের দেশের প্রচলিত আইন ( মুসলিম পারিবারিক অধ্যাদেশ ১৯৬১) এর ধারা ৭ এর উপ ধারা ১ অনুসারে যে যেই এলাকায় বাস করে সেই এলাকার চেয়ারম্যান, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, মাধ্যমে  নোটিশ প্রদান করে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে হবে। নোটিশ প্রদান করা বাধ্যতামূলক। নোটিশ প্রদান করার ৯০ দিন পর তালাক বা বিবাহের বিচ্ছেদ ঘটে। এর আগেও নয় পরেও নয়।

তাছাড়া আদালতের মাধ্যমেও বিবাহের বিচ্ছেদ ঘটানো য়ায়।এটাকে বলা হয় জুডিশিয়ারি তালাক। প্রত্যেক বিবাহিত নারী তার স্বামীর কাছ থেকে ভরনপোষণ পাওয়ার অধিকারী।
 
আমাদের মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুসারে নারীরা তাদের সম্পত্তি ফারায়েজ সুত্রে বাবা, মা ও স্বামীর কাছ থেকে পাবেন। 
 আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আইন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিক সমান ও সমান আশ্রয় লাভের অধিকের কথা বলা হয়েছে।সমান অধিকারে বিষয়ে সংবিধানের  কয়েকটি অঅনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যেমন ২৮, ২৯,৩২ অনুচ্ছেদ। 

পরবর্তী আরেকটি পর্বে  নারীরা ইসলামের শরিয়তের আইন অনুসারে কতটুকু সম্পত্তি পাবে, কিভাবে পাবে, কাদের কাছ থেকে পাবে তা আলোচনা  করা হবে।