যুক্তরাজ্য ‘চ্যালেঞ্জার-২’ ট্যাংক সরবরাহের ঘোষণার মধ্যেই শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ইউক্রেনজুড়ে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। বিশেষ করে বিদ্যুৎ অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে তারা। ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনের কিয়েভ, খারকিভ, ওডেসাসহ অন্যান্য শহরে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে রাশিয়ান বাহিনী। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ অবকাঠামো। এমন পরিস্থিতিতে অনেক জায়গার বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়া লাখো মানুষ অন্ধকারে রাত কাটাতে হয়।
একইদিন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ঘোষণা দিয়েছেন, ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিয়েভকে অত্যাধুনিক ‘চ্যালেঞ্জার-২’ ট্যাংক পাঠাতে যাচ্ছে তার দেশ। সামরিক সহায়তার অংশ হিসেবেই কিয়েভকে ১২টি ট্যাংক পাঠাবে। তাৎক্ষণিকভাবে ব্রিটেনের সরকারকে ধন্যবাদ জানান জেলেনস্কি।
ব্রিটেনের এমন ঘোষণার পরই ইউক্রেনজুড়ে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা জোরদার করে রাশিয়া। শনিবারের হামলায় দিনিপ্রোর একটি ৯তলা আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনটিতে অনেকেই তখন অবস্থান করছিলেন। শিশুসহ ৭৩ জন আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার কাজে নামে ইউক্রেনীয় দমকলবাহিনী। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, বছরের শুরুতে এটি রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা।
রাতে ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, অ্যাপার্টমেন্টে আটকে পড়াদের উদ্ধারে শেষ পর্যন্ত কাজ করে যাবে জরুরি বিভাগ। আমরা প্রত্যেকটা মানুষকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করবো।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ জরুরি বিদ্যুৎ সেক্টরে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনকে অন্ধকারে ডুবিয়ে রাখতেই এমন কৌশল অবলম্বন করছে মস্কো। জেলেনস্কি দাবি করেন, শনিবারও এসব জরুরি সেক্টেরকেই লক্ষ্যবস্তু করেছে শত্রুরা। বিশেষ করে খারকিভ এবং কিয়েভ অঞ্চলের পরিস্থিতি খুবই জটিল।
সূত্র: বিবিসি