আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ২৩, গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলী, দুই মহানগরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের সাথে যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমি পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সকল জেলা, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে সতর্ক পাহাড়ায় থাকবে। আজ থেকে। আক্রমণ আমরা করব না। কিন্তু আক্রমণের উস্কানি দিলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
কাদের আরও বলেন,শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা যাদের ভয়ের কারণ তারা নাশকতার উস্কানি দিচ্ছে। সরকার হটানোর উস্কানি ও ষড়যন্ত্র করছে।আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত। আমরা বিজয়ের জাতি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে তুলে দিতে পারিনা৷ এটাই আমাদের শপথ। এই অঙ্গিকার নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
কাদের আরও বলেন, অকারণে নিজেরা আক্রমণকারী হতে যাবেন না বলে দলের সবাইকে নির্দেশনা দেন। আমাদের শান্ত থেকে,ঠান্ডা মাথায় মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের যেন কোন বদনাম না হয় যেটা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন,শেখ হাসিনা বলেন,তারই প্রতিধ্বনি আমি বলছি।আমাদের যেন বদনাম না, শুরু তারা করেছে আমরাও দেখবো।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, রাস্তা বন্ধ করে জনগনকে কষ্ট দিয়ে সমাবেশ আর করতে দেওয়া হবে না। আমরাও করব না। আমরা জনদুরুহ সৃষ্টি করব না। বিএনপি কেন অনড়? তারা কি মানুষকে কষ্ট দিতে চায়?
তিনি বলেন, লণ্ডন থেকে আদেশ আসে। ফর্মায়েস আসে৷ মির্জা ফখরুলকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে চাকরি রক্ষার জন্য।
কাদের বলেন, বিদেশীরা এক পাক্ষিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছে বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আহমেদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক |
আপডেট:
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২২ 
