ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪ |

EN

চলন্ত ট্রেনে পাথর নিপেক্ষ রোধে মাঠে নেমেছে রেলপুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বুধবার, অক্টোবর ৬, ২০২১

চলন্ত ট্রেনে পাথর নিপেক্ষ রোধে মাঠে নেমেছে রেলপুলিশ

চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া বন্ধ করতে সচেতনতা মূলক প্রচারণা চালাতে মাঠে নেমেছে রেলওয়ে পুলিশ। সারা দেশের রেলস্টেশন ও রেললাইনের পাশে পাথর নিক্ষেপ প্রবণ এলাকাগুলোতে তারা এ প্রচারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

 

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের সচেতনমূলক প্রচারণায় রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে বোঝানো হচ্ছে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের কুফল সম্পর্কে। এ ছাড়া স্থানীয় স্কুলশিক্ষকদের নিকট বাচ্চাদের পাথর নিক্ষেপের ক্ষতি এবং পাথর নিক্ষেপ একটি আইনগত অপরাধ সেই বিষয়ে মোটিভেশন করা হচ্ছে। তা ছাড়া স্থানীয় মসজিদের খতিবদের জুমার নামাজে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করার বিষয়ে সবাইকে বলার জন্য অনুরোধ করার আহ্বান জানান তারা।

 

সার্বিক বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা রেলওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদপুর হাছান চৌধুরী বলেন, চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতা দরকার। রেলওয়ে আইনে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ একটি অপরাধ এবং পাথর নিক্ষেপের শাস্তি সম্পর্কে সকলকে আমরা জানানোর চেষ্টা করছি যাতে এ ধরনের কাজ কেও না করেন। তা ছাড়া এ ধরনের ঘটনার কারও নিকট কোন গোপন সংবাদ থাকলে, তা রেলওয়ে পুলিশকে জানানোর আহ্বান করছি।

 

১৮৯০ সালের বাংলাদেশ রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারায় বলা হয়েছে, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ এর জন্য যাবজ্জীবন জেলসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। পাথর নিক্ষেপ যদি কারও মৃত্যু হয় তাহলে উক্ত আইনে ৩০২ ধারায় দোষীর মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

 

রেলওয়ের দেওয়া তথ্য বলছে, গত নয় মাসে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ১১০টি। এসব ঘটনায় ২৯ জন আহত হয়েছেন এবং পাথর নিক্ষেপে ট্রেনের জানালার গ্লাস ভেঙেছে ১০৩টি।

 

এদিক, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চার জেলার পাঁচটি স্থান হচ্ছে এবং পশ্চিমাঞ্চলের ১০টি জেলার ১৫টি স্থানে বেশি পাথর হয়ে থাকে বলে চিহ্নিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

 

এদিকে পাথর নিক্ষেপ রোধে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থাকে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পাথর নিক্ষেপ প্রবণ এলাকাগুলোতে আরও নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। মসজিদের ইমাম ও স্কুলের শিক্ষকদের সচেতনতা কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। রেলের  অপারেশন বিভাগ রুটিন মাফিক ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করবে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের সঙ্গে কাজ করবে। তা ছাড়া জেলা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ রোধে স্থায়ী এজেন্ডা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার ব্যবস্থা করা হবে।