ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪ |

EN

‘১১ কোটি মানুষের হাতে ইন্টারনেট, দক্ষ খুব সামান্য’

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১

‘১১ কোটি মানুষের হাতে ইন্টারনেট, দক্ষ খুব সামান্য’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশে এখন ১১ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, তাদের মধ্যে খুব সামান্য মানুষ প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর দক্ষতা রাখেন।

মাত্র কয়েক বছর আগেও দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা বলতে কোনো প্রযুক্তি কিংবা অন্য কোনো কৌশল বা সুনির্দিষ্ট আইন ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সাইবার থ্রেড ডিটেকশন ও রেসপন্স কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এর ফলে এরইমধ্যে ২২ হাজার পর্নো সাইট এবং চার হাজার জুয়ার সাইটসহ আরও সহস্রাধিক আপত্তিকর সাইট বন্ধ করা হয়েছে।

ইন্টারনেট নির্ভরতার সঙ্গে ডিজিটাল অপরাধ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উল্লেখ করে তা মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্মিলিত উদ্যোগে নেওয়া ও ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা তৈরির তাগিদ দেন মন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, ইন্টারনেট নির্ভরতা যতো বেশি তৈরি হচ্ছে, ডিজিটাল অপরাধ ততো বেশি বাড়ছে। তা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য। ডিজিটাল অপরাধ শনাক্ত ও তা দমন করার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তিই ব্যবহার করতে হবে, প্রচলিত পদ্ধতিতে ডিজিটাল অপরাধ মোকাবিলা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্মিলিত উদ্যোগে কাজ করার পাশাপাশি জনগণের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা তৈরির বিকল্প নেই।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) কম্পিউটার কৌশল বিভাগের উদ্যোগে আইইবি সদর দফতরের কাউন্সিল হলে “নিরাপদ ইন্টারনেট: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরের শাসনে যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের মধ্যেও ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সেটিকে চারা গাছে রূপান্তর করেছেন এবং গত ১২ বছরে তারই সুযোগ্য নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় তা আজ এক বিরাট মহীরূহে রূপ নিয়েছে।

ডিজিটাল কানেক্টিভিটি ডিজিটাল বাংলাদেশের ব্যাকবোন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ১৭ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহৃত হচ্ছে, শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকা নেটওয়ার্কের আওতায় এবং প্রায় ৮০ ভাগ এলাকায় ফোর-জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। দেশে ২০০৮ সালে মাত্র ৮ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ ব্যবহৃত হতো, যা বর্তমানে দুই হাজার ৬৪৯ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -২ উৎক্ষেপণের উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। দেশে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের প্রক্রিয়া চলছে। ভারত ও সৌদি আরবে আমরা ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি করছি। ওরা আমাদের কাছ থেকে আরও ব্যান্ডউইথ নেবে।

প্রতিবেশী ভুটান ও নেপালেও ব্যান্ডউইথ রপ্তানির প্রক্রিয়া চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের জন্য গর্বের। তিনি বলেন চলতি বছরেই আমরা সীমিত পরিসরে ফাইভ-জি চালু করতে যাচ্ছি। দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিটিসিএল ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক স্থাপনে কাজ করছে। টেলিটক ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে আইইবি কম্পিউটার কৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. তমিজ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং কম্পিউটার কৌশল বিভাগের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় কুমার নাথের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং আইইবির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুজ্জামান এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো: সাহাব উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু), পিইঞ্জ.।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসির (পুলিশের বিশেষ ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার সাইদ নাসিরুল্লাহ। ধন্যবাদ জানান আইইবি কম্পিউটার কৌশল বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার খান মোহাম্মদ কায়ছার।